সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিউই ও কুক আইল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসন প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর নেতাদের কাছে প্রমাণ করতে চাইছে যে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
দক্ষিণ প্যাসিফিকে নতুন কূটনীতিক মিশন চালুর এই ঘোষণা এমন সময় আসছে যখন বাইডেন ওয়াশিংটনে ২ দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র-প্যাসিফিক দ্বীপ ফোরামের সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছেন।সম্মেলনে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে এ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়ছে। যার ফলে বাইডেন প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নের দিকে বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই নাম না প্রকাশের শর্তে দূতাবাস স্থাপনের পরিকল্পনার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ২ জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার সিংহভাগের জন্য সরাসরি দায়ী থাকার পরেও ধনী রাষ্ট্রগুলো এ বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট উদ্যোগ না নেওয়ার এবং ভঙ্গুর রাষ্ট্রগুলোকে এসব সমস্যার মোকাবিলায় দেওয়া ঋণ থেকে মুনাফা লোটার সমালোচনা করেছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর নেতারা।
ফোরামে অস্ট্রেলিয়া, কুক দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, ফিজি, ফরাসি পলিনেশিয়া, কিরিবাতি, নাউরু, নিউ ক্যালেডোনিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিউই, ক্যালিডোনিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ প্রজাতন্ত্র, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা, টুভালু এবং ভানুয়াতু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ১৮ সদস্যের ফোরামের বেশিরভাগ সদস্য তাদের শীর্ষ নির্বাচিত প্রতিনিধি অথবা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য মনোনীত করেছে।
বাইডেন এ বছরের শুরুতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সফরের পরিকল্পনা করলেও বিশেষ কারণে একে কাটছাঁট করতে বাধ্য হন। যার ফলে পাপুয়া নিউগিনিতে ঐতিহাসিক সফরটি বাতিল হয়। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তথাকথিত কোয়াড অংশীদারিত্বের বৈঠকেও অংশ নিতে পারেননি বাইডেন। সে সময় তিনি ওয়াশিংটনে ঋণ সীমা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টিতে নজর দেন। পাপুয়া নিউগিনি গেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই দেশ সফরের অনন্য সম্মান পেতেন।
আগামী মাসে রাষ্ট্রীয় সফরে অস্ট্রেলিয়ায় যেয়ে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে দেখা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।