ভোর হয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সূর্যের আলো পড়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান-এর গায়ে। রোদ পড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে শিবশক্তি পয়েন্টের কাছে। হাড়হিম ঠান্ডা ধীরে ধীরে কমছে। এবার চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম-প্রজ্ঞানকে জাগানোর পালা। পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে অ্যালার্ম বাজাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। কিন্তু ঘুম ভাঙার কোনও লক্ষণই নেই ল্যান্ডার-রোভারের। ইসরো জানিয়েছে, কিছু কারণের জন্য বিক্রম-প্রজ্ঞানকে জাগানোর প্রক্রিয়া আরও একটু দেরিতে হবে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবারের মধ্যেই ঘুম ভাঙবে দুজনের।
মোটামুটি ১৬ দিন আগে চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম-প্রজ্ঞানকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়েছিল ইসরো। সেই সময় সূর্য ডুবতে শুরু করেছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন তথা এক চান্দ্রদিন হিসেবে কাজ করেছে চন্দ্রযান-৩। ২ সেপ্টেম্বর রোভার প্রজ্ঞানকে স্লিপ মোডে পাঠানো হয়। ৪ সেপ্টেম্বর স্লিপ মোডে পাঠানো হয় ল্যান্ডার বিক্রমকে।
২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তাদের ফের জাগানোর চেষ্টা হয়েছে। স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই জানিয়েছেন, ২৩ তারিখ ল্যান্ডার ও রোভারকে স্লিপ মোড থেকে বের করে আনার চেষ্টা করা হবে। যান্ত্রিক কিছু কারণের জন্য শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর সেই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে।
ল্যান্ডার বিক্রমকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠানোর আগে তার রিসিভারটিকে চালু রেখেছিল ইসরো। চাঁদে রাত কাটলে আবার যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তবে ল্যান্ডার-রোভারের ঘুম ভাঙলেও তারা আগের মতো সক্রিয় হয়ে উঠবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিক্রম-প্রজ্ঞানের মৃত্যু হবে না। সূর্যালোকে ফের তাদের স্লিপ মোড থেকে অ্যাকটিভ করা যাবে। এখানেই ইসরোর বড় সাফল্য। এমনভাবেই বিক্রম আর প্রজ্ঞানের যন্ত্রপাতি তৈরি হয়েছে, এতটাই আধুনিক পদ্ধতিতে গড়েছেন বিজ্ঞানীরা যে ১৪ দিন নিষ্ক্রিয় থাকার পরেও জেগে উঠবে তারা।