সনিয়া গান্ধীর মতই দেশে জাতি গণনার জন্য দাবি তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তার দাবি, হয় সরকার নতুন করে জাতি গণনা করুক, না হলে মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে জাতি গণনা হয়েছিল তার রিপোর্ট পেশ করুক।
বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে। যা রাজনৈতিক ভাবে ঐতিহাসিক ঘটনা। সেই বিলে সমর্থন জানিয়েই ওবিসি নেতাদের পুরনো দাবিকে নতুন করে তুলেছেন রাহুল গান্ধী। সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে শুরু করে লালু প্রসাদ যাদব, মুলায়ম সিংয়ের মতো হিন্দি বলয়ের আঞ্চলিক শক্তি বারাবার দাবি তুলেছে যে মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়টিও ঢোকানো হোক। অর্থাৎ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারাও যেন সংরক্ষণের সুবিধা পান।
৯০ জন সচিব ভারতের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন। রাহুলের কথায়, “আমি নিজেকেই প্রশ্ন করি, এদের মধ্যে থেকে কতজন ওবিসি সম্প্রদায়ের। আমি উত্তর খুঁজে অবাক হয়ে গেছি। ৯০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন।” রাহুলের কথায়, এই ৩ জন সচিব দেশের মোট বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। ভারতের বাজেটের বহর যদি ৪৪ লক্ষ কোটি টাকার হয়, তা হলে এরা মাত্র ২.৪৭ কোটি টাকার বাজেট নিয়ন্ত্রণ করেন।
রাহুল গান্ধী এ কথা বলতেই লোকসভায় তুমুল হৈ-চৈ শুরু হয়। জবাবে রাহুল বলেন, “ভয় পেও না। আমরা শুধু জাতিগত জনগণনার কথাই বলছি।”
তিনি আরও বলেন, "আসলে মোদী সরকার ওবিসিদের কথা শুনতেই চান না। বিজেপি হল ওবিসি বিরোধী।" যার জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, "দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই তো জাতিগত ভাবে ওবিসি।"
রাহুল গান্ধী এও দাবি করেন যে বিলম্ব না করে দ্রুত মহিলা সংরক্ষণ নীতি চালু হোক। এজন্য জনগণনা বা ডিলিমিটেশনের অপেক্ষা করার দরকার নেই।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালেই ভারতের জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। ফের কবে জনগণনা শুরু হবে তা এখনও জানায়নি কেন্দ্রের মোদী সরকার।
পর্যবেক্ষকদের মতে, হিন্দি বলয়ে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোট ব্যাঙ্কে বিজেপি গত দশ বছরে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পেরেছে। বিজেপির সেই ভোট কেড়ে নিতেই কংগ্রেস জাতিগত জনগণনার দাবিতে এত আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।