অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের সংসদে ঐতিহাসিক দিন, পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল


তিন দশকের অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতের লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। লোকসভায় এবার ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য।
তিন দশকের অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতের লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। লোকসভায় এবার ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য।

বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দিনটি ভারতের সংসদে ঐতিহাসিক হয়ে রইল। তিন দশকের অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতের লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। অর্থাৎ লোকসভায় এবার ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য। যেহেতু এটি সংবিধান বিল তাই সভার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৫৪ জন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২ জন।

১৯৯৬ সালে লোকসভায় প্রথমবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেছিল এইচ ডি দেবগৌড়া সরকার। তারপর প্রায় ২৭ বছর পেরিয়ে গেছে। দেবগৌড়া, ইন্দ্রকুমার গুজরাল, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং জমানায় এই বিল লোকসভায় পেশ ও পাশের বার বার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু অতীতে কোনও সরকারই সফল হয়নি। মনমোহন সিং সরকার ২০১০ সালের ৯ মার্চ রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করাতে সফল হয়েছিল।

কিন্তু লোকসভায় বিলের পক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন জোগাড় করতে পারেনি। যা সম্ভব হল এবার।

২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তাতে ৯ বছর আগেই এই বিল পাশ করানো যেত। এ নিয়ে সমালোচনা করেও এদিন বিলকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কথায়, "এই বিল হল লোক ঠকানো। এখনই দেশে মহিলা সংরক্ষণ বাস্তবায়িত হবে না। আগে সরকার জনগণনা করবে। কবে সেই জনগণনা হবে তার কোনও ঠিক নেই। তারপর সরকার সেই জনগণনার ভিত্তিতে লোকসভার আসনের ডিলিমিটেশন করবে। তা কবে হবে তাও অনিশ্চিত। তারপর এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু হবে। সুতরাং সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য যে শুধুই রাজনৈতিক প্রচারের ফায়দা নেওয়া, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।"

XS
SM
MD
LG