অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের কেরলে ক্রমশ বাড়ছে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, মোকাবিলায় ফাঁক রাখছে না রাজ্য সরকার


ভারতের কেরলে ক্রমশ বাড়ছে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, মোকাবিলায় ফাঁক রাখছে না রাজ্য সরকার
ভারতের কেরলে ক্রমশ বাড়ছে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, মোকাবিলায় ফাঁক রাখছে না রাজ্য সরকার

নিপা ভাইরাসের আক্রমণে সন্ত্রস্ত ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরল। ২০১৮ সাল থেকে বারবার দক্ষিণের এই রাজ্যে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। এবারও নিপা-এ মৃত্যু হতেই জোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে কেরলে। বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর কেরল সরকার জানিয়েছে, আক্রান্তরা সকলেই কোঝিকোড় জেলার বাসিন্দা। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে কোঝিকোড়ের ৭টি গ্রামকে ‘কনটেইনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। একটি কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয়েছে।

সংবাদ সূত্রের খবর, কোঝিকোড়ে দু’জনের নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যেই বুধবার আরও একজন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এই নিয়ে এখনও অবধি সেই জেলায় মোট পাঁচ জনের নিপা-এ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আপাতত তিন জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও কেরল সরকারকে নিপা-র মোকাবিলায় সাহায্য করতে কেরলে নিজেদের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

জানা গিয়েছে, ২৪ বছর বয়সি আক্রান্ত এই ব্যক্তি একটি বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। গত ৩০ অগাস্ট নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। এরপরই সেই ব্যক্তির দেখভালের দায়িত্বে থাকা এই তরুণ স্বাস্থ্যকর্মীর নিপা পরীক্ষা হয়। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।

কেরল প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ জন এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হলেও ইতিমধ্যে ৭০০-র বেশি মানুষ তাদের সংস্পর্শে চলে এসেছেন। আর এবারে সংক্রমণ ঘটানো নিপা ভাইরাসটি বাংলাদেশ প্রজাতির একটি রূপ, যা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় বেশি। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি একজনের থেকে আর একজনের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে, তাই এই রোগ ছড়ায়ও বেশি। আর এই সংক্রমণে মৃত্যুহারও বেশি।

ইতিমধ্যে কোঝিকোড়ের ৭৭টি এলাকাকে ‘হাই রিস্ক জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। কোভিডকালের মতো কড়া নিয়ম পালন হচ্ছে সেখানে।

কেউ যাতে নিজের এলাকা ছেড়ে বাইরে না যেতে পারেন, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পুলিশ। বাঁশ দিয়ে এক একটি এলাকা সম্পূর্ণভাবে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। গাড়ি-ঘোড়া, দোকান-পাট বন্ধ রাখা হচ্ছে সবই। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, যেমন দুধ, ওষুধ-সহ যাবতীয় জিনিসের দোকানগুলি সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি খোলা রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না হয়, সেইজন্য মানুষকে আরও সচেতন করতেও চেষ্টার কসুর করছে না কেরল সরকার।

XS
SM
MD
LG