সিনেমাটি নির্মাণের খরচের ৪০ ভাগ খরচ বহন করেছে ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুরোধে সিনেমাটি পরিচালনার ভার নেন প্রবীণ পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মামুদ পরিচালক শ্যাম বেনেগালের প্রতি কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, "এই সিনেমা ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে।" তাঁর কথায়, "যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চান, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস জানতে চান, এই সিনেমা তাদের অনেক কিছু দিতে পারবে। তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন, বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও ১৯৭৫ সালের মর্মন্তুদ ঘটনাকে যেভাবে তুলে আনা হয়েছে, সেখানেই চলচ্চিত্র পরিচালকের মুন্সিয়ানা, অন্য পরিচালকের সঙ্গে পার্থক্য।"
শুরুতে সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু’। এই নামেই উপমহাদেশে বিশেষভাবে পরিচিত শেখ মুজিবুর রহমান। পরে তার কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনেমাটির নাম রাখেন, ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার।’ বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড সিনেমাটি রিলিজের অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ইচ্ছায় শ্যাম বেনেগাল সিনেমাটি টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছেন। কানাডায় প্রচুর সংখ্যায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনায় রেখে টরেন্টো চলচ্চিত্র উৎসবকে প্রিমিয়ারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন ভারতের অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শান্তনু মৈত্র। কস্টিউম ডিরেক্টর ছিলেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল।
সিনেমাটির বেশিরভাগ শ্যুটিং হয়েছে ভারতের মুম্বইয়ে। বাকিটা বাংলাদেশে। মুম্বইয়ে দাদাসাহেব ফিল্ম সিটি, গোরেগাঁও ফিল্ম সিটিতে ঢাকার ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুরের ৩২ নম্বরের বাড়ি, টুঙ্গিপাড়ার গ্রামের বাড়ির আদলে সেট সাজিয়ে শ্যুটিং হয়। ছবির দেড়শো জন শিল্পীর মধ্যে পঞ্চাশ জন ভারতীয়। শেখ মুজিবের পরিণত বয়সের অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র শিল্পী আরেফিন শুভ। মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, "এই ছবি করার পর আর কোনও সিনেমা না করলেও আক্ষেপ থাকবে না।' মুজিবের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত ইমরোজ তিসা। শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরৎ ফারিয়া।