কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিগত তিন বছর ধরে দাবি করছেন, পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ জমি দখল করে রেখেছে চীনের সেনা বাহিনী। গত অগাস্ট মাসে লাদাখে দাঁড়িয়েও একই কথা বলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী দাবি করেছেন, সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে চীন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করা হোক।
কিন্তু চীন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতোই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও কখনওই কোনও মন্তব্য করেন না। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা তথা দেশের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেছেন, চীন নিয়ে ভারত সরকারের নীরবতা ভাঙতে তিনি অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া নাড়বেন।
স্বামী বরাবরই নরেন্দ্র মোদীর তুমুল সমালোচক। বিরোধীরা মুখ খোলার আগেই তিনি জিএসটি চালু এবং বিমুদ্রাকরণ নিয়ে মোদীর প্রবল সমালোচনা করেছিলেন। অর্থমন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়ে সরব স্বামী প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলে ছয় মাসের মধ্যে দেশের হাল ফিরিয়ে দেবেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদী কখনই এই নেতাকে গুরুত্ব দেননি। গত বছর স্বামীর রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর তাকে আর প্রার্থী করেনি বিজেপি শিবির।
এবার এই প্রবীণ বিজেপি নেতা মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেল (পূর্বের ট্যুইটার)-এ বলেছেন পূর্ব লাদাখে চীন ভারতের ৪০৬৭ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করে রেখেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এর পরেও নরেন্দ্র মোদী নীরব কেন রয়েছেন সেই বিষয়ে। বস্তুত এই একই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
উল্লেখ্য, স্বামী শুধু মোদীই নন, বিজেপি-অবিজেপি-সহ একাধিক নেতাকে বিভিন্ন সময়ে বিপাকে ফেলেছেন। সনিয়া গান্ধীর ভারতীয় নাগরিকত্ব খারিজের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চালিয়েছেন। আবার কংগ্রেসের একদা মুখপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর সম্পত্তি নয়ছয় নিয়ে তার করা মামলাতেই ইডি ও আয়কর বিভাগ সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আবার তিনি সম্প্রতি প্রয়াত রাজীব গান্ধীর জন্মদিনে সংসদ ভবনে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে সনিয়া গান্ধীর পাশে হাজির ছিলেন।