পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু বার্ষিকীর এক সপ্তাহ আগে, "দাঙ্গার পরিকল্পনা করার" অভিযোগে, ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছিল।
ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে নারীদের জন্য কঠোর পোশাকের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে, তেহরানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর, গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর, ইরানী কুর্দি তরুণী আমিনি মারা যায়।
সরকারী বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, কোহগিলুয়েহ এবং বোয়ার-আহমাদ প্রদেশের গোয়েন্দা সংস্থা, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) সামাজিক মাধ্যমের পাঁচটি পেজ ব্লক করে দিয়েছে এবং এসবের নেপথ্যে থাকা ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সন্দেহভাজনদের নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ওই ব্যক্তিরা গত বছরের দাঙ্গার সময় সক্রিয় ছিল এবং তাদের অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে।"
এতে আরও বলা হয়েছে, "গত বছরের দাঙ্গার বার্ষিকীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য শত্রুদের প্রচেষ্টার সাথে সাথে, এই পাঁচটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজের এডমিনরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য সমাবেশের পরিকল্পনা করছিল।"
আমিনির মৃত্যুর পরের মাসগুলিতে ইরান জুড়ে বিক্ষোভে কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ কয়েকশ’ লোক নিহত হয় এবং বিদেশী প্ররোচিত "দাঙ্গা" হিসাবে চিহ্নিত করে হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইআরজিসি এবং তেহরানের গোয়েন্দা মন্ত্রকের ইউনিটগুলি ঘোষণা করে যে, “তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত একটি নেটওয়ার্কের 'সন্ধান পেয়ে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ' করে দিয়েছে।" এর কিছুক্ষণ পরই সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলি ঘটে।
বুধবার জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত নেটওয়ার্কের সদস্যদের বিরুদ্ধে, "উত্তেজনা ও নতুন করে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য দাঙ্গাবাজদের জন্য একটি এজেন্ডা প্রস্তুত ও উপস্থাপন করার" প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।