অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জি-২০ সামিট: ভারতীয় মেনু, সোনার জলের রুপোর পাত্র, বাজরার রমরমা - নজরকাড়া অতিথি আপ্যায়ন রাজধানীতে


দু’দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন বেলায় রাষ্ট্রপ্রধানদের সামনে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের নানা প্রান্তের নানা মনোহর পদ। টক-ঝাল-নোনতা-মিষ্টির ভারসাম্য থাকছে সেখানে। শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের দিকেও পুরো নজর রয়েছে।
দু’দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন বেলায় রাষ্ট্রপ্রধানদের সামনে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের নানা প্রান্তের নানা মনোহর পদ। টক-ঝাল-নোনতা-মিষ্টির ভারসাম্য থাকছে সেখানে। শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের দিকেও পুরো নজর রয়েছে।

ভারতীয় সংস্কৃতি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ মন্ত্রে বিশ্বাসী। রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মূলেও রয়েছে এই ভাবনা। এই সম্মেলনের অতিথি তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্রপ্রধানরা রয়েছেন। অতিথিদের আপ্যায়নে কোনওরকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না মোদী সরকার। রাজধানীতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি আপ্যায়ন পর্ব তাই আক্ষরিক অর্থেই নজর কাড়া।

নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে শনিবার ৯ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে সম্মেলন। চলবে রবিবার ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। দু’দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন বেলায় রাষ্ট্রপ্রধানদের সামনে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতের নানা প্রান্তের নানা মনোহর পদ। টক-ঝাল-নোনতা-মিষ্টির ভারসাম্য থাকছে সেখানে। শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের দিকেও পুরো নজর রয়েছে। তাই মেনুতে বাজরার রমরমা।

চলতি বছরটি ভারত আন্তর্জাতিক বাজরা বছর হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দিয়েছিল। যা জাতিসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয়। সেই কারণেই অতিথিদের খাবারেও থাকছে বাজরার আধিক্য। ভারতেও একাধিক জায়গায় এই স্বাস্থ্যকর শস্যের চাহিদা বেড়েছে গত কয়েক বছরে। ভারতের আবহাওয়ায় এই ফসলের চাষ যথেষ্ট ভাল হয়।

সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখেই অতিথিদের খাবারের প্রধান উপকরণ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বাজরা।

জি-২০র প্রধান সভাপতি মুকেশ পরদেশী বলেন, “বাজরা দিয়ে তৈরি নানাধরনের খাবার শুধুমাত্র ভারতে রান্না সম্পর্কিত ঐতিহ্যকেই যে অতিথিদের সামনে তুলে ধরবে তাই নয়, বরং জি-২০-র যে মূল বিষয়, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ সারা পৃথিবীই পরমাত্মীয় সেই বিষয়বস্তুকেও আরও স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করবে।”

অতিথিদের সোনার জল করা রুপোর থালা-বাটিতে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। জয়পুরের একটি ফার্মে প্রায় ২০০ জন কারিগর ১৫ হাজারের বেশি রুপোর পাত্র তৈরি করেছেন। জয়পুরের ফার্ম থেকে তৈরি হয়ে এই পাত্রগুলি নিয়ে আসা হয়েছে দিল্লির একাধিক বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানেই শনি ও দয় জমকালো মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজে পাত্রগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG