‘ভারত’ বনাম ‘ইন্ডিয়া’ দেশের রাজনীতি গত কয়েক দিন ধরেই বিতর্কে উত্তাল। এরই মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে শনিবার ৯ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে দু'দিনের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি-২০-র সম্মেলনে নিজেকে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে হাজির করলেন। সম্মেলনে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর আসনের সামনে টেবিলে দেশের নাম হিসাবে ইংরেজিতে লেখা আছে BHARAT। অর্থাৎ স্বদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী দেশের নাম সরকারিভাবে ভারত বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
ফলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে পৌঁছেছে তা হলে নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশের নাম হিসাবে ইন্ডিয়া ব্যবহার বন্ধ করে দিতে চলেছে কি না তাই নিয়ে। কৌতূহল তৈরি হয়েছে জি-২০-র মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে এরপর দেশের নামের জায়গায় ‘ভারত’ অন্তর্ভূক্ত করা হবে কি না তাই নিয়েও।
রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে তা মোটেই অসম্ভব নয়। সংবিধান সংশোধন না করেই তা সম্ভব। অর্থাৎ সংবিধানে ‘ইন্ডিয়া’ নামটি বহাল থাকবে। ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’ বাক্যটি অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু সরকারিভাবে ‘ভারত’ নামটিই ব্যবহার করবে সরকার। দু’দিন আগেই জাতিসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছে একটি দরখাস্ত জমা দিলেই তারা দেশের নাম বদলে দেবে। গত বছরই তুর্কি হয়েছে তুর্কিয়ে।
ভারত ও ইন্ডিয়া, দেশের এই দুই নাম নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত জি-২০ সম্মেলন ঘিরেই হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অতিথিদের নৈশভোজে যোগদানের জন্য যে নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন তাতে নিজেকে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত বলে উল্লেখ করেন। এরপর ইন্দোনেশিয়ায় আশিয়ান সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদীও নিজেকে প্রাইম মিনিস্টান অফ ভারত বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বিদেশেও একাধিক অনুষ্ঠানে হিন্দিতে ভাষণ দিয়েছেন। ফলে তার ভাষণে ভারত কথাটি নতুন নয়।
শুক্রবার ৮ অগাস্টই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভারত ও ইন্ডিয়া বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। বেলজিয়াম সফররত রাহুল সে দেশের রাজধানী ব্রাসেলস-এ সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, "দেশের নাম নিয়ে বিতর্কের সূচনা করা হয়েছে মৌলিক সমস্যা নিয়ে দৃষ্টি ঘোরাতে। বিশেষ করে আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছে না সরকার। তাই সরকার ভয় পেয়েছে।"