অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের নারী সাংবাদিক বলছেন তিনি গ্রেপ্তারের পর যৌন নিপীড়নের শিকার হন


একজন নারী সাইপ্রাসের নিকোসিয়ায় একটি কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছেন যাতে ইরানের সাংবাদিক নাজিলা মারুফিয়ানের ভিডিও দেখা যাচ্ছে। ৪ নভেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।
একজন নারী সাইপ্রাসের নিকোসিয়ায় একটি কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছেন যাতে ইরানের সাংবাদিক নাজিলা মারুফিয়ানের ভিডিও দেখা যাচ্ছে। ৪ নভেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

মাহসা আমিনির বাবার সাক্ষাৎকার নেয়া একজন ইরানি সাংবাদিক বলেন, তিনি তার সর্বসাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের সময় যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে অনশন করছেন। বুধবার বেশ কয়েকটি ফরাসি গণমাধ্যম আউটলেট এবং অধিকার গোষ্ঠী দ্বারা প্রকাশিত একটি অডিও বার্তায় একথা বলা হয়।

নাজিলা মারুফিয়ান (২৩) আমজাদ আমিনির একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার পর থেকে বারবার ইরানি কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। আমজাদ আমিনির মেয়ে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে নিহত হন। এর ফলে ইরানে কয়েক মাসব্যাপী বিক্ষোভের জন্ম নেয়।

অধিকার গোষ্ঠীগুলো ইরানি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সামনে আমিনির মৃত্যুর যে এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে তখন যাতে নতুন কোনো বিক্ষোভ না হয় তা প্রতিরোধ করার জন্য জোর অভিযানের অভিযোগ করে।

অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে মারুফিয়ানকে সাম্প্রতিক সময়ে এখন পর্যন্ত চারবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি ৩০ আগস্ট তাকে তেহরানে আটক করা হয়েছিল।

এর আগেরবার মুক্তি পাওয়ার পর মারুফিয়ান নারীদের জন্য ইসলামী প্রজাতন্ত্রের কঠোর পোশাক নীতির বিরুদ্ধে হিজাব ছাড়া নিজের ছবি পোস্ট করেছিলেন।

এই নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ইরানি কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তিনি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে মারা গেছেন কিন্তু মারুফিয়ানের সাথে সাক্ষাৎকারে আমজাদ আমিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার মেয়ের মৃত্যুর পরিস্থিতি সম্পর্কে মিথ্যা বলার অভিযোগ আনেন।

আমিনির ঘটনা নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রতিবেদন করায় ইরান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

যে দুজন নারী সাংবাদিক গল্পটিকে বিশ্বের নজরে আনতে সাহায্য করেছিলেন তারা সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন প্রায় এক বছর এভিন কারাগারে রয়েছেন।

XS
SM
MD
LG