জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের জন্য ভারতের কেন্দ্রে মোদী সরকার নিরাপত্তার যে চূড়ান্ত ব্যবস্থা করছে তার ফল হিসাবে শনিবার ৯ অগাস্ট দিল্লির এয়ারস্পেস এক প্রকার বন্ধ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও বাণিজ্যিক বিমান বা কার্গো কিংবা সরকারি কোনও বিমানকে দিল্লিতে নামতে দেওয়া হবে না। এ হেন পরিস্থিতিতে শনিবারের নৈশভোজ অনুষ্ঠানের জন্য শুক্রবার ৮ অগাস্টই দিল্লিতে পৌঁছে যেতে হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশ। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত আয়োজক দেশের মর্যাদা পাওয়ায় সেরিমোনিয়াল ডিনারে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সংঘাত থাকলেও অন্তত এ ব্যাপারে দেখা যাচ্ছে, দেশের মর্যাদার স্বার্থে সবাই রাজনীতির উর্ধ্বে উঠেই আচরণ করছেন। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তো বটেই, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন প্রমুখ সকলেই উপস্থিত থাকবেন ওই নৈশভোজে।
তবে নিরাপত্তা কারণে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেই নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কোনও মন্ত্রীও নিজের গাড়ি বা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে সম্মেলনস্থলে যেতে পারবেন না। তাদের শাটল ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ লুটিয়েন দিল্লির বিভিন্ন পয়েন্টে শাটল থাকবে। বা মন্ত্রীদের বাড়ি কিংবা অফিস থেকে শাটল কার তুলে নিয়ে যাবে।
সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, দিল্লির নিরাপত্তা বরাবরই স্পর্শকাতর। রাজধানী দিল্লিতে সংসদে হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া এত বড় সম্মেলন বানচাল করে দিতে নাশকতার চেষ্টাও হতে পারে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।