ভারতের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের একটি রায় সামনে আসায় রীতিমতো হৈ-চৈ পড়ে গেছে। এই রায় অনুযায়ী একটি বিস্কুটের দাম নির্ধারিত হয়েছে এক লক্ষ টাকা।
বিষয়টি বিস্তারিত হল - ১৬টি বিস্কুটের পরিবর্তে, ১টি বিস্কুট কম হয়ে, প্যাকেটে ছিল ১৫টি বিস্কুট। যা নিয়ে আদালতে গড়িয়েছিল মামলা। ওই মামলাতেই বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, পি দিল্লিবাবু নামে ভারতের চেন্নাইয়ের এক বাসিন্দা পথ কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থার বিস্কুট কেনেন। ওই ব্যক্তির দাবি, বিস্কুটের প্যাকেটে ১৬টি বিস্কুটের কথা লেখা থাকলেও তাতে ছিল ১৫টি বিস্কুট। এ বিষয়ে সেই বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থাকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
এরপরই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে তার আইনজীবী দাবি করেন, প্যাকেটে ১টি বিস্কুট কম থাকার অর্থ এই নির্দিষ্ট বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থা এভাবে প্রতিদিন ক্রেতাদের ঠকিয়ে ২৯ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। বক্তব্যের সপক্ষে পি দিল্লিবাবুর আইনজীবী আদালতকে জানান, সংশ্লিষ্ট বিস্কুটের প্যাকেটের দাম ছিল ১২ টাকা। ১৬টি বিস্কুট থাকার কথা। ১টি বিস্কুট কম থাকার অর্থ ক্রেতাদের প্যাকেট প্রতি ৭৫ পয়সা ঠকানো হয়েছে।
আইনজীবীর আরও দাবি, প্রতিদিন ৫০ লক্ষ প্যাকেট তৈরি করে ওই বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থা। সেই হিসেবে টাকার অঙ্কে ঠকানোর দৈনিক পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯ লক্ষ টাকা। ওই বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে আদালতে দাবি করা হয়, সংখ্যা নয়, ওজন হিসাবে বিস্কুট বিক্রি হয়। এরপরই আদালতে দিল্লিবাবুর আইনজীবী জানান, সেই হিসেবেও ওই বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থা ক্রেতাদের ঠকিয়েছে। কারণ, বিস্কুটের প্যাকেটের উপর ৭৬ গ্রাম ওজনের কথা লেখা থাকলেও ১৫টি বিস্কুটের ওজন ছিল ৭৪ গ্রাম।
এই বিবাদে ২০১১ সালের ‘লিগাল মেট্রোলজি রুলস’ আইনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওই বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থা আদালতকে জানায়, প্যাকেটজাত পণ্যে সাড়ে ৪ গ্রাম পর্যন্ত ওজনে অসঙ্গতি ধর্তব্যযোগ্য নয়।
কিন্তু ক্রেতা সুরক্ষা আদালত ওই যুক্তি নাকচ করে এরপরই ওই বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়।