অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাহুল গান্ধী বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মুখ: লালুপ্রসাদ যাদবের ইঙ্গিতে বিরোধ বাড়ছে বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে


রাহুল গান্ধী বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মুখ: লালুপ্রসাদ যাদবের ইঙ্গিতে বিরোধ বাড়ছে বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে
রাহুল গান্ধী বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মুখ: লালুপ্রসাদ যাদবের ইঙ্গিতে বিরোধ বাড়ছে বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে

ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে বিজেপি বিরোধী ২৮টি দলের 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকের পর এবার বিহারে শরিকি দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে চলে এসেছে রাজ্যের শাসক জোটের প্রধান দুই শরিক লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের মধ্যে বিরোধ। বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

দুই দলের বিবাদের কারণ পাটনা, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ের বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ লালুপ্রসাদের উচ্ছ্বাস। আরজেডি সুপ্রিমো নানা ভাবে বলার চেষ্টা করে চলেছেন, রাহুল গান্ধীই বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী মুখ।

রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, বিরোধীদের ‘দুলহা’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী মুখ কে - বিজেপির এই প্রশ্নের মুখে লালুপ্রসাদ পাটনার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাহুলকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে বুঝিয়ে দেন এই কংগ্রেস নেতা নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলায় বিরোধীদের তাস। বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ের বৈঠকের পর বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাহুলের উদ্দেশে বলেন, "আপনি এগিয়ে চলুন। আমরা আপনার পাশে আছি।" আবার মুম্বইয়ের বৈঠক সেরে দিল্লি ফিরেই রাহুলকে বাড়িতে ডেকে লালুপ্রসাদ নিজের হাতে মাংস, রুটি রান্না করে খাওয়ান।

লালুপ্রসাদের এই সব মন্তব্য এবং রাহুলকে খাতির-যত্ন করা নিয়ে তুমুল বিরোধ বেঁধেছে আরজেডি ও জেডিইউ-র মধ্যে। প্রকাশ্যে যদিও মুখ খুলেছেন মাত্র একজন। নীতীশের দলের বিধায়ক গোপাল মণ্ডল আরজেডি নেতার লাগাতার রাহুলপ্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার বক্তব্য, "ইন্ডিয়া জোটের কেউ প্রধানমন্ত্রী মুখ নন, বিরোধীদের তিনটি বৈঠকে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও কেন উনি রাহুল গান্ধীর নাম বলছেন।"

সংবাদ সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোট এবং বিহারের রাজনীতির বাস্তবতা মাথায় রেখেই নীতীশের দলের প্রথম সারির কোনও নেতা লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি এখনও। তবে বিরোধ থামার লক্ষণ নেই।

বিশ্লেষকদের বক্তব্য, নীতীশের দলের ধারণা, লালুপ্রসাদের অঙ্ক সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি তার ছোট ছেলে তথা বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। সেই অঙ্ক মাথায় রেখে কংগ্রেসকে পাশে চাইছেন এই আরজেডি নেতা। বিহারে নীতীশের মন্ত্রীসভায় আছে কংগ্রেস। আর সেই কারণেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে প্রশংসা করছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ।

প্রসঙ্গত, লালুপ্রসাদের দলের নেতারা বিগত কয়েক মাস ধরেই নীতীশকে উদ্দেশ্য করে বলে চলেছেন, "বিহারের ভার তেজস্বীর উপর ছেড়ে আপনি এবার জাতীয় রাজনীতিতে মন দিন।" নীতীশের দল বারে বারে ওই আরজেডি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুললেও কোনও মন্তব্য করেননি লালুপ্রসাদ, তেজস্বীরা।

XS
SM
MD
LG