আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পাঁচ দিনের ওই অধিবেশনের আলোচ্য এখনও ঘোষণা করেনি মোদী সরকার। তবে সরকারি ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে না বিরোধী পক্ষ। অধিবেশন শুরু হতে দু-সপ্তাহ বাকি থাকলেও বিরোধীদের কৌশল ঠিক করতে মঙ্গলবার ৫ অগাস্ট বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি তথা দলের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
এদিকে, বিজেপি সরকার ইন্ডিয়া জোটের মুম্বইয়ের বিগত বৈঠকে গঠিত কো-অর্ডিনেশন বা সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক হবে রাজধানী দিল্লিতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাড়িতে। উদ্দেশ্য, ১৩ সদস্যের কমিটির সদস্যদের মধ্যে পাওয়ার প্রবীণতম। তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক কথার কথা সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী জ্বর নিয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবারই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। তবে বৈঠকে থাকবেন না তিনি। যদিও তার ১০ জনপথের বাংলোতেই বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে প্রথমে শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা নিজেদের মধ্যে দলের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন। তারপর ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন কংগ্রেস সভাপতি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে স্পষ্ট পাঁচ দিনের অধিবেশনকে সরকার যেমন লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে, বিরোধীরাও চেষ্টা চালাবে যতদূর সম্ভব নিজেদের কথা তুলে ধরার। কংগ্রেসের অন্যতম ইস্যু আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে মোদী সরকারের বোঝাপড়া।
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠক নিয়ে খাড়্গে সোমবার ৪ অগাস্ট তৃণমূল-সহ একাধিক দলের প্রথম সারির নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। বিশেষ করে কংগ্রেস যে আদানি ইস্যুতে সরকারকে আবার আক্রমণ করতে চায় সে কথা আগাম শরিক নেতাদের জানিয়ে রেখেছেন কংগ্রেস সভাপতি। সংসদের বাজেট অধিবেশনের গোড়ায় আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে গলা মেলায়নি তৃণমূল। এখনও ওই দাবিতে তৃণমূল অবস্থানের পরিবর্তন না করলেও আদানি ইস্যুতে তৃণমূল শিবির জোরালো প্রতিবাদের পক্ষপাতী।
পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেসের তৎপরতা থেকে স্পষ্ট সরকারের ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনকে বিরোধীদের স্বার্থে কাজে লাগাতে তারা বেশ তৎপর। মঙ্গলবারের বৈঠকে সম্ভাব্য ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে যা সরকার বিশেষ অধিবেশনে তুলতে পারে।