ভারতে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের মরশুম। ছুটি থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে চলতি বছরে, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর, শেষ চার মাসে বিহারের স্কুলে ১২টি ছুটি বাতিল করে দিল নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রীত্বে রাজ্য সরকার। এই তিন মাসে স্কুলে মোট ২৩টি ছুটি বরাদ্দ ছিল। বুধবার বিহার সরকারের শিক্ষা দফতর ছুটির নয়া তালিকা প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, দুর্গাপুজোয় স্কুল বন্ধ থাকবে তিনদিন। এতদিন ছিল ছয়দিন। দীপাবলিতে ছুটি থাকত তিনদিন। কমিয়ে করা হয়েছে এক দিন। ছট পুজোর ছুটি দু দিনই থাকছে।
বিহার সরকারের বক্তব্য, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত বছরে ২০০ দিন স্কুলে পঠনপাঠন হওয়ার কথা। অন্যদিকে, ক্লাস সিক্স থেকে এইট পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার কথা ২২০ দিন। এই আইন মানতেই ছুটি কমানো হল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, বছরের গোড়ায় কেন সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিহার সরকারের বক্তব্য, তাপপ্রবাহ এবং বন্যার কারণে অনেক দিন স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তাই ছুটি কমিয়ে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হল।
বিজেপি অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে হিন্দু বিরোধী বলে দাবি দিয়েছে। কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্তে। তিনি বলেন, "এরপর দেখা যাবে সব হিন্দু উৎসব, পরবে ছুটি বাতিল হয়ে যাবে।" বিহারের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিহারের আর এক বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীও।