ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের লোকসভার বর্ষীয়ান দলনেতা অধীর চৌধুরীর উপর থেকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সুপারিশ করল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। বুধবার ৩০ অগাস্ট কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে অধীর চৌধুরীকে লোকসভায় ফেরার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার ওম বিড়লা। তবে সেটা নিছকই নিয়ম রক্ষার বিষয়। প্রিভিলেজ কমিটির সিদ্ধান্তে স্পিকারের সিলমোহর সময়ের অপেক্ষা।
গত ১১ অগাস্ট অধীর চৌধুরীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লোকসভা থেকে বহিষ্কার করেন স্পিকার। সেই সঙ্গে অধীরের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটিকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।
১১ অগাস্ট ছিল সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষ দিন। ওইদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কে অধীর আপত্তিজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ তোলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। বাণিজ্যমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব পেশ করলে তা পাশ হয়ে যায়। তবে অধীরকে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন স্পিকার। তিনি তা শোনেননি। স্পিকার ওম বিড়লা কংগ্রেস সাংসদের আচরণকে ‘অবাধ্য’ বলে মন্তব্য করেন।
প্রিভিলেজ কমিটি প্রথম বৈঠকেই অধীরের বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়। কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি সাংসদ সুনীল কুমার সিং বুধবার অধীরকে কমিটির সামনে হাজির হতে বলেন।
সংবাদ সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরী তার কিছু মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেন। মেনে নেন, কিছু কথা বলা ঠিক হয়নি। সেই সঙ্গে বলেন, "আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি।" তার এই বক্তব্যের পর কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে তার উপর থেকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই ব্যাপারে অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।