অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বহিন্দু পরিষদের কর্মসূচি ঘিরে ভারতের হরিয়ানার নুহ-তে থমথমে পরিস্থিতি, রাজ্য জুড়ে ১৪৪ ধারা, বন্ধ ইন্টারনেট


নুহ জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলায় প্রবেশের সব রাস্তায় গাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে। এমনিতেই স্থানীয় যানবাহন রাস্তায় প্রায় নেই বললেই চলে।
নুহ জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলায় প্রবেশের সব রাস্তায় গাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে। এমনিতেই স্থানীয় যানবাহন রাস্তায় প্রায় নেই বললেই চলে।

ভারতের উত্তরে হরিয়াণার নুহ-তে আবারও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। রাজ্য সরকার অনুমতি দেয়নি। অন্যদিকে, বিশ্বহিন্দু পরিষদ তাদের কর্মসূচি পালনে অনড়। দু-পক্ষের অনড় অবস্থানে হরিয়ানার নুহ-তে ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্ধ ব্যাঙ্ক, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গোটা জেলা জুড়ে আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি আছে। গত দু’দিন হল বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। নতুন করে হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কায় তটস্থ সাধারণ মানুষ।

পূর্ব ঘোষণা মতো সোমবার ২৮ অগাস্ট নুহ-তে জল অভিষেক যাত্রায় অংশ নিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতারা হরিয়ানার ওই জেলায় আগে থেকেই রয়েছেন। গত ৩১ জুলাই জল অভিষেক যাত্রা ঘিরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা জেলা জুড়ে। নুহ-র ঘটনার জেরে গুরুগ্রামে এক মসজিদে হামলায় নিহত হন এক ইমাম। নুহ-তে দু’জন পুলিশ কর্মীসহ নিহত হন ছয়জন।

সেদিন আর জল অভিষেক যাত্রা শেষ করা যায়নি। এবারের যাত্রায় অংশ নিতে নুহ-তে গিয়েছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমারও। সোমবার তিনি ঘোষণা করেছেন, "আমরা নিষেধাজ্ঞা মানি না। যাত্রা যেখানে আটকে দেবে সেখানেই আমার বসে পড়ব। জল অভিষেক যাত্রা এবার সম্পূর্ণ করা হবেই।"

সেই কর্মসূচি অর্থাৎ নুহ-র মন্দিরগুলিতে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য সোমবারকে বেছে নিয়েছে ভিএইচপি। কিন্তু হরিয়ানার বিজেপি সরকার জল অভিষেক যাত্রার অনুমতি দেয়নি। নুহ জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলায় প্রবেশের সব রাস্তায় গাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে। এমনিতেই স্থানীয় যানবাহন রাস্তায় প্রায় নেই বললেই চলে।

৩১ জুলাইয়ের অশান্তির স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে স্থানীয় মানুষকে। জেলা জুড়ে থমথমে পরিবেশ। গোটা জেলা কার্যত ঘরে ঢুকে আছে। পুলিশ মিশ্র এলাকা এবং মন্দির, মসজিদে বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে।

XS
SM
MD
LG