অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিপদ কাটিয়ে অভিযান চালাচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান


চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিপদসঙ্কুল। খানাখন্দ, গর্তে ভর্তি। তাই সামলে সাবধানে চলতে হচ্ছে প্রজ্ঞানকে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিপদসঙ্কুল। খানাখন্দ, গর্তে ভর্তি। তাই সামলে সাবধানে চলতে হচ্ছে প্রজ্ঞানকে।

এই মুহূর্তে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান চালাচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। কিন্তু সেখানে ঘুরে বেড়ানো সহজ নয়। সামনে বড় বড় গর্ত পড়লেই দিক বদলে ফেলছে রোভার প্রজ্ঞান। সোমবার ২৮ অগাস্ট-ই চার মিটার বড় গর্তের মুখে চলে এসেছিল সে। তারপর সামলে নিয়ে বাঁক ঘুরে আবার নতুন পথে চলা শুরু করেছে।

চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিপদসঙ্কুল। খানাখন্দ, গর্তে ভর্তি। তাই সামলে সাবধানে চলতে হচ্ছে প্রজ্ঞানকে। হাই-রেজোলিউশন ক্যামেরায় চোখ রেখে মাটি থেকে নমুনা তুলছে ছয় চাকার এই যান।

ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রজ্ঞানকে সুরক্ষা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তার চলার পথে সতর্ক চোখ রয়েছে সকলের। এদিন সোজা চলতে গিয়ে সামনে বড় গর্ত পড়ে গিয়েছিল প্রজ্ঞানের। সঙ্গে সঙ্গে তার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন নতুন পথে চাঁদের মাটিতে ছাপ ফেলতে ফেলতে যাচ্ছে প্রজ্ঞান।

এখনও ১০ চান্দ্রদিন কাজ করার সুযোগ পাবে প্রজ্ঞান। তার চ্যাস্ট পেলোড সক্রিয় হয়েছে। এর কাজ হল চাঁদের মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রার প্রকৃতি নির্ধারণ করা। মূলত চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, তাপমাত্রার বদল, থার্মাল কন্ডাক্টিভিটি পরীক্ষা করাই এর কাজ।

চাঁদের মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে যন্ত্র ঢুকিয়ে তাপমাত্রা মাপছে প্রজ্ঞান। তার রেডিও অ্যানাটমি অব মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারও অ্যাকটিভ হয়েছে। এর কাজ হল চাঁদের মাটিতে প্লাজমার ঘনত্ব বোঝা এবং আয়নিত কণা বা ইলেকট্রন পার্টিকল পরীক্ষা করা। কীভাবে চাঁদের মাটিতে আয়নিত কণাগুলির নিরন্তর বদল ঘটছে তা পরীক্ষা করবে এই পেলোড। সেই কাজ শুরু হয়ে গেছে।

XS
SM
MD
LG