অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের কেন্দ্র সরকার চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে


ভারতের কেন্দ্র সরকার চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে
ভারতের কেন্দ্র সরকার চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে

ভারত থেকে বাসমতী বাদে অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি গত জুলাই মাস থেকে বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি মাসে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক চাপিয়ে এই নিত্য প্রয়োজনীয় সব্জিটিও বিদেশে পাঠানোয় কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত সরকার। এবার পালা চিনির। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী মাস থেকে চিনি রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

ভারতের কেন্দ্র সরকার চাল রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ইওরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তুমুল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। খবর পাওয়া মাত্র মানুষ দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল কিনে নেওয়ায় বহু এলাকা এখন ভারতীয় চাল শূন্য। থাইল্যান্ডের চাল দিয়ে কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সূত্রে খবর।

পেঁয়াজ নিয়েও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বহু দেশে। পেঁয়াজ নিয়ে সিদ্ধান্তে দেশে আবার অন্য সমস্যায় পড়েছে সরকার। মহারাষ্ট্রের চাষিরা ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধে করে দিয়েছে। তাদের অসন্তোষের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার চড়া দাম দিয়ে চাষিদের থেকে দু লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চাল এবং পেঁয়াজ নিয়ে কড়াকড়ির মূলে আছে দেশের বাজারে পণ্য দুটির জোগান স্বাভাবিক রাখা। বিগত দেড় বছরের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তও দেশের বাজারের কথা বিবেচনায় রেখে।

সেপ্টেম্বর থেকে ভারত পর্যায়ক্রমে ইওরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৬১ লাখ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানি করে থাকে। ২০১৬ সালে এক কোটি ১১ লাখ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এবার আখ উৎপাদনকারী প্রধান দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আখের চাষ প্রবলভাবে মার খাবে। তাই আগেভাবে সরকার চিনি রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করতে চলেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে লোকসভার নির্বাচন। বিরোধীরা ইতিমধ্যে মূল্যবৃদ্ধিকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান ইস্যু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারও জিনিসপত্রের দাম কমাতে সচেষ্ট। বর্ষা মিটতেই দেশে উৎসবের মরসুম শুরু হবে। তখন খাদ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আসন্ন উৎসবের মরসুম এবং লোকসভা ভোটের কথা বিবেচনায় রেখেই একের পর এক খাদ্যপণ্য রপ্তানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে কেন্দ্র সরকার।

XS
SM
MD
LG