অবশেষে চাঁদের মাটিতে, নির্দিষ্টভাবে বললে তার দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল ভারতের চন্দ্রযান-৩। ইতিহাস গড়ল ভারত। ঐতিহাসিক সাফল্য পেল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, "ভারত চাঁদে পৌঁছেছে। সফ্ট ল্যান্ডিং করতে পেরেছি আমরা!"
বুধবার ২৩ অগাস্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল শেষ ১৫ মিনিটের যাত্রা। প্রথমে চাঁদের উপর ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয় ল্যান্ডার বিক্রমকে। অবতরণ স্থল থেকে তার দূরত্ব ছিল ৭৪৫.৫ কিলোমিটার। ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চাঁদের দিকে নেমে আসার প্রক্রিয়ায় ল্যান্ডার-এর গতিবেগ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১.৬ কিলোমিটার। ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে হাল্কা পালকের মতো সে নামে চাঁদের মাটিতে।
৬৯০ সেকেন্ড এইভাবে ধীরে ধীরে নামার পর ল্যান্ডারের ইঞ্জিনগুলো কাজ করা শুরু করে। দ্বিতীয় চন্দ্রযানে পাঁচটি ইঞ্জিন ছিল। তৃতীয় চন্দ্রযানে ইঞ্জিনের সংখ্যা কমিয়ে চার করা হয়েছে। সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় দু’টি ইঞ্জিন চালু রাখা হয়। দ্বিতীয় চন্দ্রযানে যে সেন্ট্রাল ইঞ্জিন ছিল সেটা এবার বাদ দেওয়া হয়।
ল্যান্ডিংয়ের সময় গতিবেগে গন্ডগোল হলে বা সেন্সর কাজ না করলে যাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সেজন্য সফটওয়্যার আরও উন্নত ছিল। চাঁদের মাটি থেকে যখন দূরত্ব কমে দাঁড়ায় ৭.৫ কিলোমিটার, তখনই শুরু হয় আসল চ্যালেঞ্জ। এই পর্যায়ে গিয়েই আগের বার মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছিল চন্দ্রযান-২। কিন্তু এবার তা হয়নি।
শেষ সাড়ে সাত কিলোমিটারের পথ অত্যন্ত সতর্কভাবে এবং সময় ও গতিবেগ হিসেব করে পালকের মতো নামে ল্যান্ডার বিক্রম, ল্যান্ডিং স্পটে।