অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মাত্র ৭০ কিমি দূর থেকে চাঁদের আলোর ছবি পাঠাল ভারতের চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম, কাউন্টডাউন শুরু চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের


গত ৬ অগস্ট চাঁদের কক্ষে পৌঁছনোর পরের দিনই ছবি তুলেছিল চন্দ্রযান-৩। ছবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা গিরিখাত— এডিংটন, পিথাগোরাস, অ্যারিস্টারকাস, রমন। দেখা যাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা ‘ওসিয়ানাস প্রোজেলেয়ারাম’ যাকে আমরা চাঁদের কলঙ্ক বলে চিনি।
গত ৬ অগস্ট চাঁদের কক্ষে পৌঁছনোর পরের দিনই ছবি তুলেছিল চন্দ্রযান-৩। ছবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা গিরিখাত— এডিংটন, পিথাগোরাস, অ্যারিস্টারকাস, রমন। দেখা যাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা ‘ওসিয়ানাস প্রোজেলেয়ারাম’ যাকে আমরা চাঁদের কলঙ্ক বলে চিনি।

চাঁদের জ্যোৎস্না মানে, চাঁদের আলোর ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাল ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম।

চাঁদ থেকে আর মাত্র ৭০ কিমি দূরে রয়েছে চন্দ্রযান-৩। এই দূরত্বটা পার করে ফেলতে পারলেই চাঁদের মাটিতে পৌঁছবে ভারত। ৭০ কিমি দূর থেকে কেমন লাগে চাঁদকে, বিক্রম-এর পাঠানো সেইসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরো।

ছোট-বড় গহ্বরে ভরা চাঁদের একপাশের ছবি যত্ন করে তুলেছে ল্যান্ডার। ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরায় পৃথিবীর ছবি ধরা পড়েছিল। সোমবার ২১ অগাস্টও চাঁদের নানা ছবি তুলেছিল ল্যান্ডার। ল্যান্ডার হরাইজোনটাল ভেলোসিটি ক্যামেরা-র সাহায্যে চাঁদের কক্ষপথ বা লুনার অরবিট থেকেই চাঁদের একের পর এক ছবি তুলে যাচ্ছে বিক্রম।

গত ৬ অগস্ট চাঁদের কক্ষে পৌঁছনোর পরের দিনই ছবি তুলেছিল চন্দ্রযান-৩। ছবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা গিরিখাত— এডিংটন, পিথাগোরাস, অ্যারিস্টারকাস, রমন। দেখা যাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা ‘ওসিয়ানাস প্রোজেলেয়ারাম’ যাকে আমরা চাঁদের কলঙ্ক বলে চিনি। অন্ধকারে ঢাকা এক গভীর গিরিখাত। প্রায় ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এটি। তারই ছবি তুলেছিল চন্দ্রযান-৩-এ থাকা ল্যান্ডার হরাইজেন্টাল ভেলোসিটি ক্যামেরা (এলএইচভিসি)।

বুধবার ২৩ তারিখ চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং হবে বিক্রমের। শেষ ২০ মিনিটের সময়টাই চ্যালেঞ্জ-এর, তা পেরিয়ে গেলেই স্বস্তি। চাঁদের ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে নামার কথা চন্দ্রযানের। বিক্রম নিরাপদে চাঁদের মাটিতে নামতে পারলেই তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। তার কাজ হবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আঁধার পিঠে ঘুরে ঘুরে নুড়ি-পাথর কুড়নো, চাঁদের মাটি পরীক্ষা করা, চাঁদের গহ্বর বা ক্রেটারের ছবি তোলা এবং বরফের অস্তিত্ব আছে কিনা তা খুঁজে দেখা। এইসব কাজের পাশাপাশি, চাঁদের মাটিতে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক চিহ্নও আঁকবে রোভার। অর্থাৎ চাঁদ জয় করে দেশের বিজয় চিহ্ন এঁকে দেবে প্রজ্ঞান।

রোভার-এর ক্যামেরায় সহজেই ধরা পড়ে চাঁদের ক্রেটার বা গহ্বরের বৈচিত্র্য। ক্রেটার থেকে ছিটকে বেরোনো পদার্থ বা ক্রেটার ইজেক্টা। কয়েক কোটি বছরের পুরনো গহ্বর যেমন আছে, তেমনই আছে নতুন তৈরি হওয়া গহ্বরও। মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হাই রেজোলিউশন ক্যামেরায় এইসব গহ্বর অনেক সময়েই ধরা দেয় না। কারণ চাঁদের ধুলো বা রেগোলিথ সেগুলোকে আড়াল করে রাখে। ধুলোর চাদরের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সেইসব গহ্বরের খোঁজ চালাবে রোভার।

XS
SM
MD
LG