ভারতে হোস্টেলে এবং পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকার জন্য এবার খরচ বাড়তে চলেছে ছাত্রছাত্রীদের। অথরিটি ফর এডভান্স রুলিং (এএআর)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে হোস্টেল এবং পিজিতে ভাড়ার উপর ১২ শতাংশ জিএসটি বসতে চলেছে । যেহেতু হোস্টেল এবং পিজিগুলি আবাসিক ইউনিট হিসেবে পরিগগণিত হয় না, তাই সেগুলি কর ছাড়ের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না বলে জানিয়েছে এএআর ।
এএআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র আবাসিক বাসস্থানগুলিই জিএসটি ছাড়ের জন্য যোগ্য। সম্প্রতি যে সমস্ত হোস্টেল এবং গেস্ট হাউসের ক্ষেত্রে দিন প্রতি ভাড়া ১০০০ টাকা, সেগুলির উপর থেকে জিএসটি ছাড় তুলে নেয় কেন্দ্র সরকার। ২০২২ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত এগুলির উপর জিএসটি-তে ছাড় ছিল। সুতরাং, বর্তমানে হোস্টেল, পিজি এবং গেস্ট হাউসের ক্ষেত্রে আর জিএসটিতে ছাড় মিলবে না। উল্টে ভাড়ার উপর অতিরিক্ত ১২% জিএসটি গুনতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে এএআর।
এএআর-এর এই নিয়মের ফলে পড়ুয়াদের উপর খরচের বোঝা বাড়তে চলেছে বলেই অনুমান। এর কারণ হল, শুধুমাত্র নতুন ভাড়ার উপর নয়, উপরে উল্লিখিত তারিখের পর থেকে এখনও পর্যন্ত যে ভাড়া পরিশোধ করা হয়ে গেছে, তার সঙ্গেও যোগ হতে চলেছে ১২% জিএসটি। তার ফলে হোস্টেলের চাহিদা কমতে পারে, এবং লাভের অঙ্ক কমার ফলে হোস্টেল ব্যবসায় সরাসরি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্নাটক এএআর তাদের সাম্প্রতিক রায়ে জানিয়েছে, আবাসিক বাসস্থানগুলির অর্থ হল যেখানে মানুষ স্থায়ীভাবে থাকেন। হোস্টেল, পিজি, লজ কিংবা গেস্ট হাউজগুলি তার আওতায় আসে না। তাই হোস্টেল অপারেটররা জমির মালিককে যে ভাড়া দেন, তার উপর বিপরীত জিএসটি চার্জ প্রযোজ্য হবে। সমস্ত হোস্টেল অপারেটর পরিষেবাগুলির উপর জিএসটি প্রযোজ্য হবে এবং এর জন্য অপারেটরদের অবশ্যই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন পেতে হবে।
এএআর আরও জানিয়েছে, ওয়াশিং মেশিন, টিভি, এসি ইত্যাদি থাকলে সেগুলির জন্য আলাদাভাবে কর ধার্য করা হবে। অর্থাৎ, যদি কোনও হোস্টেল এই সুবিধাগুলি প্রদান করে, তাহলে ভাড়ার উপর ১২ শতাংশ হারে জিএসটি বসবে তো বটেই, তা ছাড়াও এই পরিষেবাগুলির জন্য আলাদা করে জিএসটি দিতে হবে।