অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চাল রপ্তানির উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী চালের দামকে প্রভাবিত করতে পারে


ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডা অ্যাঙ্করেজ-এ ভারতের প্রধান চাল বন্দরে একটি সরবরাহকারী ট্রাক থেকে শ্রমিকরা চালের বস্তা নামাচ্ছে। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডা অ্যাঙ্করেজ-এ ভারতের প্রধান চাল বন্দরে একটি সরবরাহকারী ট্রাক থেকে শ্রমিকরা চালের বস্তা নামাচ্ছে। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)

বিশেষজ্ঞদের মতে, অভ্যন্তরীণ মূল্য বৃদ্ধি এবং পরবর্তী ফসলের ফলনে ঘাটতির আশঙ্কার কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর চালের রপ্তানির উপর ভারত কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শস্যের বৈশ্বিক মূল্যকে প্রভাবিত করতে পারে, যখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ইতিমধ্যেই একটি উদ্বেগের বিষয়।

ভারত, বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ, বিশ্বব্যাপী চাল বাণিজ্যের ৪০% ভারতের সাথে হয়, এর চালান প্রায় ১৪০টি দেশে যায়।

বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে সরকার বলেছে সে দেশে দাম গত বছরের তুলনায় ১১.৫% এবং গত মাসে ৩% বেড়েছে।

একটি বিবৃতিতে, ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক বলেছে, "ভারতীয় বাজারে নন-বাসমতি সাদা চালের পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে দামের বৃদ্ধি কমাতে" রপ্তানি নীতি সংশোধন করেছে। তারা বলছে, নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের গমের নিরাপদ পরিবহনের অনুমতি দেওয়ার জন্য রাশিয়া একটি চুক্তি থেকে সরে আসার কয়েকদিন পরই ভারত এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই পদক্ষেপের ফলে দাম বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, খাদ্য মূল্যস্ফীতির সাথে লড়াই করার কারণে ভারত শীঘ্রই বিধিনিষেধগুলি শিথিল করার সম্ভাবনা কম।

খাদ্যের দাম বৃদ্ধি সরকারের জন্য একটি খুবই সংবেদনশীল বিষয়, কারণ দেশটি এই বছরের শেষের দিকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচন এবং আগামী এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চাল এবং গমের দাম এমন একটি দেশে বিশেষ উদ্বেগের বিষয়, যেখানে খাদ্যশস্য নিম্ন-আয়ের মানুষের খাদ্যের একটি প্রধান অংশ।

ভারত গত বছর থেকে কৃষিজাত দ্রব্য রপ্তানি কঠোর করছে – এছাড়া এক বছরেরও বেশি আগে গম রপ্তানির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী দেশ ভারতে ১৪০ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ধানের মজুদ রয়েছে, সেখানে একটি অনিয়মিত বর্ষা মৌসুম পরবর্তী ফসলের ক্ষতি করতে পারে, যা জুনে রোপণ করা হয়েছিল এবং সেপ্টেম্বরে কাটা হবে বলে আশা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে দেশের উত্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রধান ধান উৎপাদনকারী অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণে অনাবৃষ্টির ফলে অনেক কৃষক ফসল রোপণ করতে পারছে না।

XS
SM
MD
LG