সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশীয় এবং চাইনিজ আমেরিকানদের টিভি শো এবং চলচ্চিত্রে আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে অনেকগুলো তরুণ দর্শকদের লক্ষ্য করে বানানো।
মিডিয়ায় এশীয় আমেরিকানদের উপস্থিতি বৃদ্ধির কারণ শুধুমাত্র এই নয় যে, এটি স্ট্রিমিং যুগের একটি পণ্য। এটি এর চেয়েও বেশি কিছু। গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পের পরিচালক সি সি সু এবং তার ছাত্রদের জন্য এটি তাদের পরিচয়ের আরও সঠিক উপস্থাপনার দিকে একটি পদক্ষেপ।
সু শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়েছিলেন। তার লক্ষ্য হলো গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে ছাত্রদেরকে তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও বেশি শেখানো।
হলিউড বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করার একটি উপাদান হিসেবে এশীয় আমেরিকান প্রতিনিধিত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হয়েছে।
চাইনিজ কানাডিয়ান ইউটিউবার এবং মানবাধিকার কর্মী ইয়াও ঝাং বলেছেন, মহামারী চলাকালীন এশীয়-বিরোধী ঘৃণার ঘটনা বেড়ে যাওয়া এশীয় আমেরিকানদের সম্পর্কে বেশি অনুষ্ঠানের পেছনে আরেকটি কারণ।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলস কলেজ অফ সোশ্যাল সায়েন্সের সহায়তায় পরিচালিত হলিউড ডাইভার্সিটি রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী, নাট্য চলচ্চিত্রগুলোতে দেখা গেছে, ২০২২ সালে এশীয়রা প্রধান অভিনেতাদের উপস্থিতি ২ দশমিক ৩ শতাংশ, সামগ্রিক অভিনয়ে তাদের উপস্থিতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, পরিচালকদের মধ্যে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং লেখকদের মধ্যে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
২০২৩ সালে হলিউডে আরও এশীয় আমেরিকানরা কাজ পাবেন কিনা তা অজানা। সু এবং তার গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি শুধুমাত্র অনস্ক্রিনে তাদের মতো দেখতে আরও মুখ বৃদ্ধিই নয়, তাদের অভিজ্ঞতাগুলো যাতে অর্থপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।