ইরানের একটি আদালত গত বছর দেশব্যাপী বিক্ষোভের সময় সাতজনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে।
বিচার বিভাগের অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইট মিজানের খবরে বলা হয়, আব্বাস কুরকুরির বিরুদ্ধে নভেম্বর মাসে খুজেস্তান প্রদেশের ইজেহতে সাতজনকে সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করে গুলিকরে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে 'মোহারেবেহ' বা 'আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ' এবং 'পৃথিবীতে দুর্নীতি' অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
নারীদের জন্য ইরানের কঠোর পোশাক নিয়মরীতি বা কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী কুর্দি ইরানি মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তারের পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইসলামি প্রজাতন্ত্রে কয়েক মাস ধরে প্রায় চলেছে।
(ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে) কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ শত শত মানুষ নিহত হয়েছিল এবং কর্মকর্তারা ইরানের শত্রুদের দ্বারা সংঘবদ্ধ"দাঙ্গা" অভিহিত করে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মিজানে বলা হয়েছে, কুরকুরির সাজার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যেতে পারে।
বন্দুকের গুলিতে নিহত ১০ বছর বয়সী কিয়ান পিরফালাকের দাফনের সময় ঐ বালকের মা তার ছেলেকে হত্যার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে দায়ী করেন বলে জানা গেছে।
মৃত্যুর সময় কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছিলেন যে ছেলেটি একটি চরমপন্থী দলের "সন্ত্রাসী" হামলায় নিহত হয়।
বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে যে কুরকুরি "অভিযোগ স্বীকার করেছেন" এবং “সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবিত” হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
ইরানি কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে এবং প্রায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তাদেরকে প্রধানত নারী নেতৃত্বে প্রতিবাদ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে শাস্তি দেয়া হয়।