অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের নোবেল বিজয়ী ইরানকে “ছাড় না দেয়ার জন্য” ইইউ-র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন


শিরিন এবাদি ২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল শিকাগোতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। ফাইল ছবি।
শিরিন এবাদি ২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল শিকাগোতে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। ফাইল ছবি।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইরানি আইনজীবী শিরিন এবাদি বুধবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তেহরান কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বজায় রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এবাদি ২০০৩ সালে নোবেল পুরস্কার জেতেন এবং বর্তমানে ইরানের বাইরে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তিনি তেহরান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে “নিষেধাজ্ঞা কার্যকর” করার ওপর জোর দেন।

তিনি ইইউ আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, “এই শাসনের কাছে নতি স্বীকার করবেন না।”

পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভের ওপর তীব্র দমন-পীড়নের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের কর্মকর্তাদের ওপর একাধিক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মাহসা আমিনি ইরানের বাধ্যতামূলক পোশাক নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে তেহরানে পুলিশ হেফাজতে তিনি মারা যান।

জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসের আহ্বান সত্ত্বেও ২৭ রাষ্ট্রের ইউরোপীয় ব্লক এখন পর্যন্ত ইরানের বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিহিত করা থেকে বিরত আছে।

তবে এবাদি স্পষ্টভাবে বলেছেন, “রেভোলিউশনারি গার্ডস একটি সন্ত্রাসী দল।”

তিনি ইইউকে অনুরোধ করেছেন, “এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বলুন।”

তিনি বলেন, আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের শুরু থেকে এই পর্যন্ত “কমপক্ষে ৫০০ জন” নিহত হয়েছে এবং ২০ হাজার জনকে বন্দী করা হয়েছে।

ইরানের ওপর বিশেষ করে হাজার হাজার স্কুলছাত্রীর রহস্যময় বিষক্রিয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভোটের প্রাক্কালে তার এই বক্তব্য সামনে আসে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান দরিদ্র- এবাদি এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

বরং, তিনি কর্তৃপক্ষের “তহবিল নয়ছয়” এবং “খারাপ অর্থনৈতিক নীতি”র ওপর এর দায় চাপিয়েছেন।

XS
SM
MD
LG