হারিকেন ইয়ান, যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলির মধ্যে একটি। শনিবার মৃতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়ে যাওয়ায়, রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সপ্তাহের শেষের দিকে ধ্বংসযজ্ঞের পরিমান দেখতে ফ্লোরিডা যাচ্ছেন।
উদ্ধারকারীরা এখনও ডুবে যাওয়া এলাকায় এবং রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করছে।
বুধবার ইয়ান যখন একটি শক্তিশালী ৪ মাত্রার হারিকেন হিসাবে তীরে আঘাত করে তখন বাড়ি, রেস্তোঁরা এবং ব্যবসাকেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
ফ্লোরিডা মেডিকেল এগজামিনারস কমিশন শনিবার গভীর রাতে বলেছে, ঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪ এ উন্নীত হয়েছে। তবে বিভিন্ন কাউন্টি থেকে মৃত্যুর খবর এখনও প্রকাশিত হচ্ছে - যা অনেক বেশি সংখ্যার ইঙ্গিত করে।
লি কাউন্টি একাই ৩৫টি মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
উপকূলীয় রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নরের অফিস সেখানে ঝড়ে চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বুধবার ফ্লোরিডা সফর করবেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়েরে টুইট করে জানিয়েছেন।
শনিবার ফ্লোরিডার লি কাউন্টিতে, নৌকায় করে উদ্ধারকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকরা এখনও ছোট দ্বীপ মাতলাচা-র শেষ আটকে পড়া বাসিন্দাদের রক্ষার চেষ্টা করছেন।
প্রায় ৮০০ লোকের আবাসস্থল এই এলাকাটি দুটি সেতুর ক্ষতির পরে মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
সরে যাবার আদেশ খুব দেরিতে আসায় এবং বেশিরভাগ লোকের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় লোকজন এখান থেকে সরে যায়নি বলে জানান ৪৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি।
হারিকেনের সময় ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ১৬ জন অভিবাসী নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। দু'জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আরও নয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন কিউবান নাগরিক রয়েছেন।
শনিবার রাতে ফ্লোরিডায় নয় লক্ষের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন।
সম্পত্তি বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ একটি সংস্থা কোরলজিকের একজন প্রতিনিধি টম লারসেন বলেন,
"হারিকেন অ্যান্ড্রু ১৯৯২ সালের আঘাতের পর এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্লোরিডা ঝড়।"
মানবসৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে আরও গুরুতর আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্ঘটনা ঘটছে, বিজ্ঞানীরা বলছেন।