অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রায় দুই সপ্তাহ পর গাজার সাথে সংযোগ আবার খুলে দিল ইসরাইল


ইসরাইল ও গাজা উপত্যকার মধ্যকার ইরেজ ক্রসিং পেরিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করছেন ফিলিস্তিনি কর্মীরা, ২৭ মার্চ ২০২২। (ফাইল ফটো)
ইসরাইল ও গাজা উপত্যকার মধ্যকার ইরেজ ক্রসিং পেরিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করছেন ফিলিস্তিনি কর্মীরা, ২৭ মার্চ ২০২২। (ফাইল ফটো)

গাজা উপত্যকার সাথে ইসরাইলের একমাত্র প্রবেশপথটি দুই সপ্তাহ বন্ধ করে রাখার পর, রবিবার ফিলিস্তিনি কর্মীদের জন্য তা পুনরায় উন্মুক্ত করে দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এমন তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি বেসামরিক বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সিওজিএটি নামক ইউনিট জানায়, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে … কর্মী ও অনুমতিপত্র থাকা ব্যক্তিদের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে পারাপারের জন্য রবিবার থেকে ইরেজ ক্রসিং খুলে দেওয়া হবে।”

ইসরাইলে কাজ করতে আসার জন্য ১২,০০০ ফিলিস্তিনি পারমিটধারী ঐ সংযোগপথটি ব্যবহার করেন।

ইসরাইলের জাতীয় স্মৃতি এবং স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে মে মাসের ৩ তারিখে ঐ সংযোগপথটি বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এছাড়াও অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সে সময়ে সহিংসতা চলছিল, যদিও গাজা শান্তিপূর্ণ ছিল।

উপকূলবর্তী দরিদ্র গাজা উপত্যকা ছিটমহলটি হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী শাসন করে। ইসরায়েল এবং হামাস বিগত ১৫ বছরে বেশ কয়েকবার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে সবশেষ লড়াই হয় গত বছরের মে মাসে।

ইসরাইল কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করেছিল যে, এপ্রিলে জেরুজালেম ও এর আশপাশের এলাকার উত্তেজনা ও সহিংসতার ঘটনা, গাজার সাথে আরেকটি সংঘাতের সূচনা করতে পারে। তবে শেষমেষ তেমনটি ঘটেনি। এপ্রিলে মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাসের রোজা পালন করেন।

বিশ্বব্যাংকের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে গাজায় বেকারত্বের হার ৪৮% বলে উল্লেখ করা হয়। ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের অংশ গাজা, যেখানে জনসংখ্যা প্রায় ২৩ লক্ষ। ইসরাইলে কাজের সুযোগ ছিটমহলটির অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য এক বিষয়।

XS
SM
MD
LG