জস বাটলারের অন্যবদ্য সেঞ্চুরির পর বোলারদের নৈপুণ্যে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড। সুপার টুয়েলভের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৬ রানে হারায় তারা।
এ নিয়ে ৪ ম্যাচ খেলে ৪ টিতেই জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার নিশ্চিত হলো ইংলিশদের। আগের তিন ম্যাচে ইংলিশরা হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়াকে। তবে ৪ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ে প্রায় ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কা।
সোমবার (১ নভেম্বর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে নামে দুই দল। গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। প্রথমে ব্যাট করা ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫৩ রান করে দলের সম্ভাবনা জাগান অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে শেষ অবধি তা আর হয়ে ওঠেনি। হাসারাঙ্গা ২১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করে লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে বিদায় নেন। আর শানাকা ২৫ বলে ২৬ রান করে রান আউট হন।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডান ও মঈন আলী ২টি করে উইকেট পান।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলারের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে খারাপ শুরু হলেও শেষটা ভালো হলো ইংল্যান্ডের। ৯৫ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন। চলমান বিশ্বকাপে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া ডানহাতি ব্যাটার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিরও দেখা পেলেন।
শুরুটা ভালো করতে না পারা ইংল্যান্ড ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার অসাধারণ বোলিংয়ে চাপে পড়ে। ওপেনার জেসন রয়কে ৯ রানে বোল্ড করার পর শূন্য রানে জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান এই লেগস্পিনার। মাঝে দুশমন্থ চামিরার বলে বোল্ড হন ডেভিড মালান।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। অধিনায়ক ইয়ান মরগানকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ বলে ১১২ রান করেন জস বাটলার। মরগান শেষ অবধি হাসারাঙ্গার তৃতীয় শিকারে পরিণত হলেও অবিচল থাকেন বাটলার। মরগান ৩৬ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বাটলার ৬৭ বলে ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন।
হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ২১ রানে ৩টি উইকেট তুলে নেন। চামিরা পান একটি উইকেট।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন সেঞ্চুরি করা জস বাটলার।