অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নামিবিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়ে সেমিতে পাকিস্তান 


খেলা শেষে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাচ্ছেন নামিবিয়ার অধিনায়ক ডেভিড। নভেম্বর ২, ২০২১ (ইন্দ্রনীল মুখার্জী/ এএফপি)
খেলা শেষে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাচ্ছেন নামিবিয়ার অধিনায়ক ডেভিড। নভেম্বর ২, ২০২১ (ইন্দ্রনীল মুখার্জী/ এএফপি)

সুপার টুয়েলভের গ্রুপ-২ এর ম্যাচে মঙ্গলবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নামিবিয়ার বিপক্ষে ৪৫ রানে জিতেছে পাকিস্তান।

চলতি আসরে এটি পাকিস্তানের টানা চতুর্থ জয়। এর আগে ভারত, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানকে হারিয়েছে তারা। সর্বশেষ জয়ে সেমি নিশ্চিত হলো পাকিস্তানের।

শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ডেভিড ভিসের শেষের ঝড় সত্ত্বেও ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থামে নামিবিয়া।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই খাবি খেতে থাকেন নামিবিয়ার ব্যাটাররা। দলীয় ৮ রানেই বিদায় নেন ওপেনার মাইকেল ফন লিঙ্গেন (৪)। এরপর আরেক ওপেনার স্টিফেন বার্ডকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়েন তিনে নামা ক্রেইগ উইলিয়ামস। কিন্তু তাদের ব্যাটিংয়ের ধরন ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ হয়নি। ফলে বল ও রানের ব্যবধান বাড়তে বাড়তে নাগালের বাইরে চলে যায়।

বার্ড ২৯ বলে ঠিক ২৯ রান করেই রান আউট হন। উইলিয়ামস ৩৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। অধিনায়ক এরাসমাস বিদায় নেন ১৫ রানেই। এরপর শেষদিকে কিছুটা ঝড় তোলেন একসময় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা ডেভিড ভিসে। এবারের বিশ্বকাপে নামিবিয়ার স্বপ্নযাত্রার মূল নায়ক এই অলরাউন্ডার আজকের ম্যাচে করেন ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান। কিন্তু তার এই ইনিংস শুধু হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজে আসেনি।

বল হাতে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, হারিস রৌফ এবং শাদাব খান।

এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ১১৩ রানের জুটি পায় পাকিস্তান। ফর্মে থাকা বাবর এই ম্যাচেও তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি। দুজনে মিলে দুইটা রেকর্ডও গড়েন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো ৫ বার শতরানের জুটির কীর্তি গড়েন তারা। তাছাড়া প্রথম জুটি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হাজারের বেশি রানের মালিকও হন তারা। দারুণ খেলতে থাকা বাবর ৪৯ বলে ৭ চারে ৭০ রান করে বিদায় নেন।

তিনে নামা ফখর জামান ৫ রানেই আউট হলেও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ নেমেই রিজওয়ানকে যোগ্য সঙ্গ দেন। এরপর বাবরের মতো রিজওয়ানও পেয়ে যান ফিফটির দেখা। ক্যারিয়ারের ১১তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি তিনি পান ৪২ বলে। শেষদিকে অবশ্য আসল ঝড় তোলেন মোহাম্মদ হাফিজ। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় নামিবিয়ার বোলিং লাইনআপ।

ইনিংসের শেষ ওভারে আবার ঝড় তোলেন রিজওয়ানও। নামিবিয়ার বোলার জেজে স্মিটের ওই ওভারে রিজওয়ান একাই এক ছক্কা ও চার চারে নেন ২৪ রান। হাফিজ-রিজওয়ানের এই ঝড়ে শেষ ২৩ বলে ৬০ রান তোলে পাকিস্তান। তাদের ২৬ বল স্থায়ী জুটিতে আসে ৬৭ রান। রিজওয়ান ৫০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৯ রানে এবং হাফিজ মাত্র ১৬ বলে ৫ চারে ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

নামিবিয়ান বোলারদের মধ্যে ১টি করে উইকেট নেন ডেভিড ভিসে এবং জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক।

XS
SM
MD
LG