অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় হার


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলায় হারার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বাহবা দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা- নভেম্বর ২, ২০২১- এএফপি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলায় হারার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বাহবা দিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা- নভেম্বর ২, ২০২১- এএফপি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের সবগুলোতে হেরে সেমিতে যাওয়া হলো না বাংলাদেশের।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৯ বল হাতে রেখে জয় পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আবুদাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশের দেওয়া ৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারান ওপেনার রেজা হেনড্রিকস। তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ৪ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর কুইন্টন ডি কককে নিজের প্রথম ওভারেই বোল্ড করেন মেহেদি হাসান। পরের ওভারেই এইডেন মার্করামকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান তাসকিন আহমেদ।

এরপর ব্যাট করতে নেমে রাসি ভ্যান ডার ডাসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। শেষদিকে এসে নাসুম আহমেদের বলে ব্যক্তিগত ২২ রানে উইকেট হারান ভ্যান ডার ডাসেন। তবে ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন ডেভিড মিলার। ২ বলে ৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। অপরপ্রান্তে অধিনায়ক বাভুমা ১টি ছয় ও ৩টি চারে ২৮ বলে ৩১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করলেও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারলেন না টাইগার ওপেনার নাঈম শেখ। রাবাদার বলে হেনড্রিকসের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ৯ রানে উইকেট হারান তিনি। পরের বলেই বিদায় নেন ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার। এলবিডব্লিউ হয়ে রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।

ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিমও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। রাবাদার তৃতীয় শিকার হয়ে রান ছাড়াই মাঠ ছাড়েন এ ব্যাটসম্যান। ব্যাট করতে নেমে অবশ্য লিটন দাসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ব্যর্থ হন টাইগার অধিনায়ক। এনরিক নরকিয়ার শিকার হয়ে মাত্র ৩ রানে বিদায় নেন তিনি। পরের বলেই ব্যাট করতে নামা আফিফ প্রেটোরিয়াসের বলে বোল্ড হয়ে শূণ্য রানে মাঠ ছাড়েন।

আফিফের পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ খেই হারিয়ে ফেলে। থিতু হয়ে ব্যাট করতে থাকা লিটন দাসও শেষ পর্যন্ত উইকেট হারান। শামসির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এ স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হন শামিম পাটোয়ারী। কেশভ মহারাজের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ১১ রান নিয়ে বিদায় নেন তিনি।

শেষদিকে মেহেদিকে সঙ্গ নিয়ে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও ১৮তম ওভারে রান আউট হয়ে বিদায় নেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে নরকিয়ার বলে উইকেট হারান মেহেদি হাসানও। ১টি ছয় ও ২টি চারে ২৫ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে মুশফিক-আফিফদের মতো রান ছাড়াই বিদায় নেন নাসুম আহমেদও। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার ১০ বল আগেই ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পান কাগিসো রাবাদা ও এনরিক নরকিয়া।

XS
SM
MD
LG