ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ৮ বছর পর জেএমবির শীর্ষ নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইয়ের একজন সহযোগী ফজলে রাব্বি খুন নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার রাতে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বসন্তপাড়ায় কে বা কারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। রাব্বি বাংলাভাইয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল। এলাকায় বলাবলি আছে, বাংলাভাইকে রাব্বি ধরিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ বলছে, সঠিক কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে রাব্বি যে দলছুট হয়েছিল এটা সত্য। সাঘাটা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এই সংবাদদাতাকে বলেন, নিহত রাব্বি জেএমবির সক্রিয় কর্মী ছিল। তবে এলাকায় থাকতো না।
বাংলাভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি সাঘাটা উপজেলায়। এক সময় তিনি সেখানে জেএমবিকে সংঘটিত করেন। এই সময় তার সঙ্গে নিহত রাব্বির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। বাংলাভাই গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাব্বি এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। এরপর ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেয়। ঈদের ছুটিতে সে বউ-বাচ্চা নিয়ে বাড়িয়ে যায়। রোববার সন্ধ্যায় জুমারবাড়ি বাজারে আড্ডা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে মামুদপুর নামক স্থানে তাকে গুলি করা হয়। কে গুলি করলো, কেন করলো এই প্রশ্নের জবাবে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলছে। এখনই বলা যাবে না। মামলা হচ্ছে কিনা প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, প্রক্রিয়া চলছে। নিহত রাব্বির আত্মীয়-স্বজনরা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। বাংলাভাইয়ের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন এখন ময়মনসিংহ কারাগারে। উল্লেখ্য, হিন্দুস্তান টাইমস সম্প্রতি খবর দিয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে ২০০৫ সনে বাংলাভাই ভারতে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। ২০০৭ সনে বাংলাদেশের কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।মতিয়ুর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট: