আজকের অতিথি মিঃ রুপঙ্কর বাগচী একজন বিখ্যাত গায়ক এবং সঙ্গীত রচয়িতা। তিনি বর্তমানে কলকাতায় বসবাস করছেন এবং বহু চলচিত্র এবং ধারাবাহিকে Playback Singer হিসেবে গান করেন, এছাড়াও নিজের সংস্থা 'রুপঙ্কর এর অ্যাকাডেমি 'র তরফ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন। সাম্প্রতিক COVID-19 এর কারণে লকডাউনের জন্য সমগ্র সঙ্গীত শিল্পের উপর তার প্রভাব সম্বন্ধে সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেছেন।
প্রথম প্রশ্ন, সমগ্র সঙ্গীত শিল্পের ক্ষেত্রে যে সব কাজকর্ম চলছিল, ভারতবর্ষ জুড়ে এই সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা সামগ্রিকভাবে তার উপর কি প্রভাব ফেলতে পারে?
উত্তরে তিনি আমাদের জানালেন যে, করোনাভাইরাস মহামারী জনিত কারণে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত গানের রেকর্ডিং বন্ধ হয়ে গেছে, এমনকি বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানগুলিও বন্ধ, সুতরাং ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় প্রশ্ন, লকডাউন হওয়ার ফলে বহু মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং দিনের পর দিন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।যেহেতু গান খুবই সৃজনশীল একটা শিল্প, এবং গান গাইলে মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি পাওয়া জায়, সেক্ষেত্রে আপনি কি কোন পরামর্শ দেবেন যাতে করে মানুষ তাদের এই বিষাদগ্রস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারে?
উত্তরে তিনি বলেন যে বিষাদগ্রস্ত হয়ে কোন লাভ নেই, সব মানুষকে অনেক আশাবাদী হতে হবে, এবং আমরা নিশ্চয়ই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারব।তিনি এও বলেন যে, লকডাউনের অনেক নতুন গান তিনি এবং তার দলের সঙ্গীতশিল্পীরা তৈরি করে তার চ্যানেলে আপলোড করেছেন এবং সবাইকে শুনতে বলেন।
তৃতীয় প্রশ্ন, আপনি যে সব ছবিতে এবং ধারাবাহিকে কাজ করছিলেন সেগুলি বন্ধ হয়ে গেছে, এবং এই যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আবার কি করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা যায়, তা নিয়ে কি কোন ফোনে অথবা স্কাইপে যোগাযোগ করে আলোচনা করছেন?
উত্তরে তিনি বলেন যে, কথাবার্তা চলছে এবং নিশ্চয়ই একটা সমাধান খুজে পাওয়া যাবে।
ভয়েস অফ অ্যামেরিকার বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে মিঃ রুপঙ্কর বাগচীর সঙ্গে কথা বলেন জয়তী দাশগুপ্ত।