ভারত সরকার আজ আবারও জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনাই তাদের অগ্রাধিকার। আজ বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লিতে সারাদেশের একত্রিশটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের কার্যক্রম ও নীতি সম্পর্কে অবহিত করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, বহু ভারতীয় নাগরিককে আমরা আফগানিস্তান থেকে নিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু এখনও অনেকেই বাকি রয়ে গেছেন। তাঁদের সবাইকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। তবে মুশকিল হলো, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা আর বেশ কিছু ভারতীয় নানান জায়গা থেকে কাবুলে এসে পৌঁছনোর পরেও ভারতীয় দূতাবাসে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করাননি। তাই তাঁরা কোথায় আছেন খোঁজ করতে পারা যাচ্ছে না।
বিদেশমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্যান্য বিশ্বনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন, সকলেই আফগানিস্তানের ব্যাপারে চিন্তিত।
জয়শঙ্কর বলেছেন, দোহা চুক্তিতে তালিবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রক্ষা করছে না। ওই দেশে পরিস্থিতি এখন সঙ্কটজনক, আরও অবনতি হতে পারে। সবদিক ভেবে চিন্তে আমরা এগোচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে সরকার সব বিরোধী দলগুলোকে পাশে চাইছে, যাতে সবাই মিলে একসঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
বৈঠক শেষে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়গে সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা সরকারকে কথা দিয়েছেন পাশে থাকবেন। কারণ, আফগানিস্তানের বিপদ শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের নয়, সারাদেশের। সকলে একসঙ্গে এই সঙ্কট পার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সংবাদ সংস্থা এএনআইকে খড়গে বলেন, আমরা খবর পেয়েছি সম্প্রতি একজন আফগান কূটনীতিককে দিল্লির বিমানবন্দর থেকে ভারত ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের মতে অনুচিত হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রক আমাকে বলেছে, এটা একটা ভুলবশত হয়েছে। আর কখনও এমন হবে না। কেন এটা হল, তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।