ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা মিয়ানমার সফরে গিয়ে ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্র অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বললেন, অবিলম্বে দেশচ্যুত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ফিরিয়ে নিতে হবে মিয়ানমারকে। পাশাপাশি মুক্তি দিতে হবে কারাবন্দী অং সান সু চীকে। মিয়ানমারের সামরিকজান্তা নতুন করে ক্ষমতা নেওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম মিয়ানমার সফর। তার সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ডেস্কের দায়িত্বে কর্মরত যুগ্ম সচিব স্মিতা পন্থ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে সেই দেশের স্টেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মিং আন হাইলাং ও পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি অং সান সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমেক্রেসির প্রতিনিধি দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন। তিনি সিভিল সোসাইটির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে অংশ নেন।
দিল্লি থেকে সাংবাদিক গৌতম লাহোরি ও সাউথব্লকের একাধিক সূত্র ভয়েস অব আমেরিকাকে জানিয়েছেন, এই সফরকালে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেন। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার প্রশ্নে বাংলাদেশ আরও পরিস্কারভাবে বন্ধু দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থানের দাবি জানায়। হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সর্বশেষ ঢাকা সফরের সময়ও বিষয়টি সামনে আসে। ভারত এবার তাদের অবস্থান আরও খোলাসা করেছে।
শ্রিংলা বলেন, ভারত চায় মিয়ানমারে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরে আসুক। সহিংসতা বন্ধ করে আলোচনার টেবিলে সকল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করা হোক। তিনি আসিয়ান দেশগুলোর সমাধান প্রস্তাবকে সমর্থন করেন এবং একটি বাস্তবসম্মত গঠনমুলক রাজনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব দেন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীনদের।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রাখাইন প্রদেশে বর্তমান উন্নয়ন কাজ দ্রত শেষ করার পক্ষে মত দেন, যাতে করে বসতভিটাচ্যুত রোহিঙ্গারা ফিরতে পারে। তিনি ভারতের প্রকল্পগুলোর মধ্যে কালাদান পরিবহন ও ভারত মিয়ানমার,থাইল্যান্ড হাইওয়ে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। তিনি ভারতের মণিপুরে সন্ত্রাসদমনে মিয়ানমারের সহায়তা চান।