ভারতবর্ষে যেন প্রতি বছরই চার মাসের বর্ষার সময় অতি বর্ষণে বন্যা আর বাকি আট মাসে খুব কম বৃষ্টির কারণে খরা একটা স্বাভাবিক দুর্দশা চক্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অতীতে ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে কয়েকটি অতিকায় জলাধার নির্মাণ করে বর্ষার বাড়তি জল ধরে রেখে তা খরার সময় ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে বাঁধ তৈরি অনেক দিন এক রকম বন্ধ। ব্যয়বাহুল্য এবং স্থানচ্যূতদের পুনর্বাসনের সমস্যাই এর কারণ।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্ক একটি রিপোর্ট তৈরি করে বলেছে, ভারত-নেপাল সীমান্ত অঞ্চলে পুরনো জলাধারগুলির পাশাপাশি নতুন কয়েকটি জলাধার নির্মাণ করলে বর্ষার সর্বোচ্চ জলপ্রবাহের ১৮% জল ধরে রাখা যায়। সেটি কাজে লাগানো যাবে খরার সময়।
তবে ক্ষতিপূরণ এমন হওয়া দরকার, তা যেন সত্যিকারের পুনর্বাসন সম্ভব করে। অর্থাৎ সেই পুরনো খরা-বন্যা নিয়ন্ত্রণের সমাধান সূত্রই ফিরে আসছে। অথচ এছাড়া উপায়ই বা কি? বৃষ্টির ধরণ তো আর মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কলকাতা থেকে গৌতম গুপ্ত।