অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাকায় ইমরানের ফোন, দিল্লির সতর্ক পর্যবেক্ষণ


চীন ইস্যুতে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে যখন কিছুটা টানাপড়েন চলছে ঠিক তখনই বুধবার ইসলামাবাদ থেকে ফোন এলো ঢাকায়। ইমরান খান কথা বললেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন চান ইমরান। এই সম্পর্ক অনেকদিন থেকেই হিমশীতল। যদিও ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি এক সপ্তাহ আগেই খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তিনি কোভিড মহামারির মধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঢাকার মিডিয়ায় এই খবর তেমন জায়গা পায়নি। তবে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলুর বরাতে খবরটি চাউর হয়। হাসিনা-ইমরান কি কথা হয়েছে তার বিশদ জানা যায়নি। শুধু বলা হয়েছে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির খবরাখবর নিতেই ফোন করেছিলেন ইমরান। ভারতীয় মিডিয়া একদিন আগেই সম্ভাব্য এই ফোনালাপের খবর প্রচার করেছিল। ঐ খবরে এই অঞ্চলে চীন প্রভাব বিস্তার করতে এটা তারই ইঙ্গিত বলে বর্ণনা করে মিডিয়া। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বিশেষ সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগকে দিল্লি বাঁকা চোখেই দেখে আসছে। এখানে স্মরণ করা যায় যে ইমরান খান গত বছরের ২রা অক্টোবর শেখ হাসিনাকে ফোন করে তার কুশলাদি জানতে চান। একদিন পরে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকে সামনে রেখে ইমরান খানের টেলিফোন নিয়ে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। ভারতীয় বিশ্লেষকরা প্রতিবেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পেছনে চীনকেই দায়ী করছেন। আগে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মিত্র ছিল পাকিস্তান। চীন-ভারত সম্পর্কে যখনই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে অন্য প্রতিবেশিরা চুপই থেকেছে। নেপাল, শ্রীলংকার সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের দেয়াল তৈরি হয়েছে। সবথেকে লক্ষণীয় যে নেপাল হঠাৎ করেই ভারতের সঙ্গে তার বিরোধপূর্ণ তিনটি এলাকাকে পার্লামেন্টে অনুমোদন করে নেয়। একই সময়ে চীন বাংলাদেশি পন্যের উপর শতকরা ৯৭ শতাংশ হারে শুল্ক রেয়াদ দেয়ার কথা ঘোষণা করে। ভারতীয় মিডিয়া একযোগে চীনের এই প্রস্তাবকে এমন একটা পরিভাষা দিয়ে চিত্রিত করার চেষ্টা করে যা কিনা ঢাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল নিয়ে ঢাকা-বেইজিং যখন একমত হয় তখনও ভারতীয় মিডিয়ায় অস্বস্তির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। চীনের আরেকটি প্রস্তাবও এই সময় আলোচনায় আসে। আর তা হচ্ছে মহানগরগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের একটা মেলবন্ধন। এর নাম দেয়া হয়েছে সিস্টার সিটি। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ মনে করেন এটা ভাববার কোন কারণ নেই যে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব ফেলার প্রয়াশ একেবারেই নিরীহ। উভয় দেশই বাংলাদেশকে তাদের কক্ষফুটের মধ্যে রাখতে চাইছে। যখন ভারতীয় মূলনীতি কেবলমাত্র স্বল্পমেয়াদী চিন্তা দ্বারা পরিচালিত এবং তা একদল কেন্দ্রিক চীন তখন বাংলাদেশে একটা দীর্ঘমেয়াদী খেলা খেলছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:36 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG