চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং দুই দিনের মিয়ানমার সফর শুরু করবেন শুক্রবার থেকে। গত দুই দশকের মধ্যে চীনের কোন প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম মিয়ানমার সফর।
রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারকে যখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশ দায়ী করছে এবং দেশটি যখন এই প্রশ্নে চাপের মুখে রয়েছে, ঠিক তখনই চীনের প্রেসিডেন্টের মিয়ানমার সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক মহল।
মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকালে মিয়ানমারের রাখাইনের কায়াপিউতে চীনের সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এবং সেখানেই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বিষয়ে চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে ‘‘চায়না-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডোর’’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সাথে চীনের সংযুক্তির পথ এবং চীনের ‘‘বেল্ট এন্ড রোড ইনেসিয়েটিভ’’-এর বিষটিকেও ভূ-রাজনৈতিক, নিরাপত্তা কৌশল, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং চীনের প্রভাব বলয় সৃষ্টির উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকগণ।
এছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ কি হতে পারে সে বিষয়েও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আর এসব বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন।