বাংলাদেশের নাটোরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি।
এছাড়াও বগুড়া শহরে অপর আরেক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের উপসর্গ শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যাথায় শনিবার বিকেলে মারা গেছেন। মৃত ঐ ব্যক্তির শরীর থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এঘটনার পর মৃত্য ব্যক্তির ভাড়াবাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
এবিষয়ে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি। রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে তার শরীরে করোনা ছিল কিনা।
এদিকে গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর শ্রমিকরা চাকরি রক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। শনিবার দিনব্যাপি বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আশে পাশে থেকে বেশ কিছু বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে ছেড়ে গেছে। বাসের পাশাপাশি পন্য পরিবহনেও গার্মেন্টস কর্মীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার পথে যেতে দেখা গেছে। তাদের অনেকেই বলেছেন, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা ট্রাকে করেই রওনা দিয়েছেন। তারা করোনা আতঙ্কের ছাপ নিয়েই চাকরি রক্ষার জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন।
অপরদিকে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজি বাজার মহাস্থানে পাইকার না থাকায় বিপাকে পরেছে কৃষকরা। তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে না পেরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে সবজি বিক্রেতারা বলেন, সব কিছু বন্ধ থাকায় দূরের পাইকাররা এই হাটে আসতে পারছেন না। ফলে তাদের উৎপাদিত সবজি অবিক্রিত অবস্থায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে উত্তরের শহরগুলোতে আজো প্রশাসন শক্ত অবস্থানে ছিল। সাধারণ মানুষের ভীড় ছিল না কোথাও। তবে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে কিছুটা মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।