প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ সিপিএম নেতা অশোক মিত্রের জীবনাবসান হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।
আজ মঙ্গলবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান বামফ্রন্ট সরকারের প্রথম এই অর্থমন্ত্রী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল নব্বই বছর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে আজই ভারতীয় সময় সকাল সওয়া নটা নাগাদ মারা যান তিনি। উল্লেখ করা যেতে পারে এরাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন অশোক মিত্র। ঊন্নিশো সাতাত্তর থেকেঊন্নিশো সাতাশি সাল পর্যন্ত এক দশক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর পদ সামলিয়েছেন তিনি। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এর পরে রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন এই প্রবীণ অর্থনীতিবিদ।অবিভক্ত ভারতের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোক হওয়ার পরঊন্নিশো সাতচল্লিশ সালে অশোক বাবু অর্থনীতিতে স্নাকোত্তরে ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাকোত্তর সম্পূর্ণ করেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজে অর্থনীতি নিয়ে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।ঊন্নিশো তিপান্নসালে ইউনিভার্সিটি অব রটারডাম থেকে ডক্টরেটপান অশোক মিত্র। তাঁর তাল-বেতাল বইটি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হয়।রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর প্রয়ানে রাজ্যেরবিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বললেনঅশোকবাবু চলে যাওয়ায় বড়সড় ক্ষতি হয়ে গেল। উনি বড়মাপের অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর চিন্তাভাবনা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সত্যিই আমরা হারালাম। প্রয়াত অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্যরা সহ বামফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ , কবি শঙ্খঘোষ এবং সমাজের বিশিষ্ট জনেরাও তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।