১৯৭৮ সালের পর এই প্রথম নেদারল্যান্ডস আবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক ম্যাচে তারা উরুগুয়েকে ৩-২ গোলে পরাজিত করলো। প্রথমে গোল করে নেদারল্যান্ডস এগিয়ে গেলেও উরুগুয়ে প্রথমার্ধেই গোল পরিশোধ করে খেলায় ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে এক পর্যায়ে নেদারল্যান্ডস ৩-১ গোলে এগিয়ে গেলেও খেলা শেষ হবার কয়েক মিনিট আগে উরুগুয়ে আরেকটি গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনে। শেষ পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধি উরুগুয়ে ৩-২ গোলে হেরে যাওয়ায় এবারের বিশ্বকাপে বাকি রইলো ইওরোপের তিনটি দল – নেদারল্যান্ডস, জার্মানী এবং স্পেন।
ওদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তিনটি ইওরোপীয় দলের প্রশংসা করলেন ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি। ব্রাজিল নয়, আর্জেন্টিনা নয়, সেমিফাইনাল পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার যে দলটি আফ্রিকার প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে ‘আফ্রিকার তারকা’ ঘানাকে হারিয়ে এগিয়ে এসেছিলো – সেই উরুগুয়ের সাফল্যের বিষয়টি অনেকেরই হয়তো মনে থাকে না। উরুগুয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাগতিক দেশ ও শিরোপা জয়ী, উরুগুয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতেছিলো ১৯৫০ সালে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ থেকে তার দেশ লাভবান হয়েছে অবশ্যই। দেশের মানুষের মধ্যে বিশেষ এক সংহতি গড়ে উঠেছে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে নির্মাণ শিল্প এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার খাতে। আশা করা যাচ্ছে, ভবিষ্যতে পর্যটন শিল্পেরও আরও প্রসার ঘটবে। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট জুমা যেমন বলেছেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছি, হ্যাঁ আফ্রিকা পারে বৈকি’।