বাংলাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে। সেই লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠান রবিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে।
ধাপে ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর পৌনে একলাখ জনবল তৈরি করা হবে এ কর্মসূচির আওতায়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে কর্মসূচী উদ্বোধণকালে দেয়া এক বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তারা 'অটল।'
"আমরা আমাদের কমিটমেন্টে (অঙ্গীকার) অটল আছি। আমাদের মূল লক্ষ্য একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সেই পর্যন্ত যাতে পৌঁছাতে পারে সেটি লক্ষ্য রাখবেন। এটি একটি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা, যা আজ থেকে শুরু হয়েছে, সফলতা আসার আগ পর্যন্ত চলবে," তিনি বলেন।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে ২ জানুয়ারি যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখের বেশি নতুন ভোটার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারা দেশের ১৮ কোটি মানুষের 'বঞ্চনার দুঃখ দূর করার দায়িত্ব' নিয়েছেন। "তারা যে এতদিন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেটা ঘুচাতে চাই। তাদের বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই, " তিনি বলেন।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ৬ মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।"
"মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়,” এমন ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।