সচিবালয়ে বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশনের কারণে আগুনের ঘটেছে উল্লেখ করে কোনো নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ব্রিফিংয়ে জানান, "বিদ্যুতের তারের লুজ কানেকশন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। কোনো নাশকতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।"
সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অগ্নিকাণ্ড রোধে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণের সুপারিশ আগামী দশ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্যদেরকে দীর্ঘমেয়াদে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলেন,"অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে আমরা কী করতে পারি- সে বিষয়ে সুপারিশ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা প্রয়োজনীয় সুপারিশ দশ দিনের মধ্যে তুলে ধরব।"
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তাদের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ চেয়েছেন, যাতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো থাকে। সচিবালয়ে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেন আর না ঘটে, সেজন্য যত রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার সেগুলো যেন নিতে পারে"।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশসমূহ তুলে ধরবেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার। আজ কমিটি তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলো।