বৃহস্পতিবার গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বাহিনী কেন্দ্রীয় এলাকায় তাদের বোমাবর্ষণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ট্যাংকগুলো ছিটমহলের উত্তর ও দক্ষিণের আরও গভীরে প্রবেশ করে।
ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ লেবাননে যুদ্ধবিরতি পালন শুরু করার একদিন পর এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেল। ওই যুদ্ধবিরতি এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতার অবসান ঘটিয়েছে এবং গাজার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাসের সাথে একই ধরনের চুক্তির আশা জাগিয়েছে।
গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়ায় কামাল আদওয়ানের একটি বাড়ি ও হাসপাতালের কাছে দুটি পৃথক বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে এবং দক্ষিণে খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় একটি মোটরসাইকেল বিধ্বস্ত হলে চারজন নিহত হয়েছে।
গাজায় আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি নুসেইরাতে ইসরায়েলি বিমানগুলো বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে, একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে এবং মসজিদের বাইরের রাস্তায় আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, নুসেইরাতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্যাংকের গোলাবর্ষণে একজন নারী ও একজন শিশুসহ অন্তত দুজন নিহত হয়েছে এবং কাছেই একটি বাড়িতে বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিশর সীমান্তের কাছে রাফা শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আরও গভীরে ট্যাংক ঢুকে পড়েছে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় খুব কম অগ্রগতি হয়েছে এবং আলোচনা এখন স্থগিত রয়েছে। পক্ষগুলো ছাড় দেয়ার জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত মধ্যস্থতাকারী কাতার তাদের প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে।
ইসরায়েল এবং হামাসের লেবানিজ মিত্র হিজবুল্লাহর মধ্যে সমান্তরাল সংঘর্ষে বুধবার ভোরের আগে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে যুদ্ধ তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং তা গাজার সংঘাতকে ছাপিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার লেবানন চুক্তি ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি এখন গাজায় একটি অধরা চুক্তির জন্য আবার চাপ দেবেন এবং ইসরায়েল ও হামাসকে এই মুহূর্তটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।