‘ইসকন’ কী ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কি না, সংগঠনটির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, সেসব জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) করা এক আবেদেনর শুনানিকালে বৃহস্পতিবারের (২৮ নভেম্বর) মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এ তথ্য আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনে সংগঠনটির কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে আদালতের কাছে আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
এ সময় আদালত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ইসকনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চান।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়।
সাইফুল ইসলাম নামে চট্টগ্রামের এক আইনজীবী মারা যান। আহত আরও ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার হাইকোর্টে তুলে ধরা হয়।
ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারি এবং সংগঠনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশ প্রার্থনা কর হয়। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত। পরে ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ জানাতে বলে হাইকোর্ট।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমরা বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে বিষয়টি জানাব।”
ইসকনের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক বলে ‘হাইকোর্টকে জানিয়েছি’ বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “ওই ঘটনাটি ফৌজদারি অপরাধ। এ কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে ইসকন নিষিদ্ধ করা হবে কি না, তাদের নিবন্ধন আছে কি না- এসব সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।”