ক্যালিফোর্নিয়ায় হ্যারিস, আইওয়াতে ট্রাম্প
ডনাল্ড ট্রাম্পকে আইওয়া, আইডাহো এবং ক্যানসাস রাজ্যে জয়ী ঘোষণার মধ্যে দিয়ে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ২১৪টি ইলেক্টরাল ভোট সংগ্রহ করলেন। নির্বাচনে জয়ের জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টরাল ভোটের মধ্যে প্রয়োজন ২৭০।
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, ওয়াশিংটন আর ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়া জয়ের মধ্য দিয়ে পেয়েছেন ১৭৯টি ইলেক্টরাল ভোট।
তবে যে রাজ্যগুলোর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলোতে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটছে না। ডনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন সময় রাত ১১টায় এগিয়ে থাকলেও, আরও অনেক রাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়নি যেগুলোর কয়েকটা হ্যারিসের খাতায় যাবে বলে ধারনা করা হয়।
এই নির্বাচনে হার-জিত হবে সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা সুইং স্টেট, যেখানে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে কিন্তু দু’প্রার্থীর ভোট খুব কাছা-কাছি হওয়ায় ফলাফল ঘোষণা করতে বিলম্ব হবে। সাতটি রাজ্য হচ্ছে - মিশিগান, উইস্কন্সিন, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনা।
এফবিআই-এর নাম আর লোগো ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও নিয়ে হুঁশিয়ারি
- By লিয়াম স্কট
নির্বাচন চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে যে, নির্বাচন ঘিরে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এফবিআই সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচন নিয়ে অসত্য তথ্য ছড়ানোর উদ্দেশে সংস্থার নাম এবং লোগো ব্যবহার করে তিনটি নতুন ভুয়া ভিডিও ছাড়া হয়েছে।
একটি ভিডিওতে এক কথিত বিবৃতি ছিল যেখানে ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার খবর না প্রচার করার জন্য সাংবাদিকদের সাবধান করা হয়।
অন্য একটিতে এই মিথ্যা দাবী প্রচার করা হয় যে, নির্বাচন-সংক্রান্ত সহিংসতার ঝুঁকির জন্য ১১ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা হবে।
তৃতীয় ভিডিওতে মিথ্যা দাবী করা হয় যে, এফবিআই ৯,০০০ ত্রুটিপূর্ণ ভোট মেশিন সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছে।
“এই তিনটি ঘটনা হচ্ছে মিথ্যা ভাবে এফবিআই-এর বরাত দিয়ে ভুয়া ভিডিও এবং বিবৃতি ছড়ানোর সর্বশেষ তিনটি ঘটনা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমেরিকান জনগণকে বিভ্রান্ত করা,’ এফবিআই এক বিবৃতিতে জানায়।
নিউ ইয়র্কে হ্যারিস এবং টেক্সাসে ট্রাম্পের বিজয়
জনসংখ্যার দিক থেকে বড় কয়েকটি রাজ্য থেকে ফলাফল পাওয়া গেছে, যদিও এখনো কোন অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যায়নি।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস নিউ ইয়র্ক-এ জয়ী হয়েছেন।
রিপাবলিকান প্রার্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে টেক্সাস, ওহাইও, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, লুইজিয়ানা, মন্টানা, মিসোউরি, ইউটাহ এবং ওয়াইওমিং-এ জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
সর্বশেষ ফলাফলের পর দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প ১৯৮ এবং হ্যারিস ৯৯টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
পঞ্চাশটি রাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩৮ ইলেক্টরাল ভোট আছে এবং যে প্রার্থী ২৭০টি পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।
ওবামার পর এক দশকে ফ্লোরিডা এখন রিপাবলিকানদের দখলে
যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য-ভিত্তিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্লোরিডা একটি বড় পুরষ্কার – ইলেক্টরাল ভোটের হিসেবে ফ্লোরিডা তৃতীয় বৃহত্তম। ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৪ আর টেক্সাসের ৩৮ এর পরেই আসে ফ্লোরিডার ৩০ ইলেক্টরাল ভোট।
তবে মঙ্গলবারের নির্বাচনে ফ্লোরিডায় ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় আশ্চর্যজনক কিছু ছিল না। গত এক দশক ধরেই এই রাজ্য রিপাবলিকানদের দখলে গেছে।
বারো বছর আগে ২০১২ সালে বারাক ওবামা ছিলেন শেষ ডেমোক্র্যাট যিনি ফ্লোরিডায় রাজ্য-ব্যাপী কোন নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
মঙ্গলবার ফ্লোরিডার ভোটাররা তাদের রাজ্যে গর্ভপাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব এক গণভোটে প্রত্যাখ্যান করে। ফ্লোরিডার বাসিন্দা ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় জানিয়ে দেন তিনি এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেবেন।