ফ্লোরিডায় ট্রাম্প এবং ম্যাসাচুসেটসে হ্যারিস জয়ী
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এবং দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে ফলাফল আসা অব্যাহত রয়েছে।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডা, আলাবামা, মিসিসিপি, টেনেসি, সাউথ ক্যারলাইনা, আরকানসো এবং ওকলাহোমায় জয়ী হয়েছেন। এর আগে তাঁকে কেন্টাকি, ইন্ডিয়ানা এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জয়ী ঘোষণা করা হয়।
অন্য দিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে এ’পর্যন্ত ইলিনয়, নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, ডেলাওয়ের এবং কানেটিকাট-এ জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে তিনি ভারমন্ট রাজ্যে জয়ী হন।
ভোট গণনার শুরু দিকের এই ফলাফলের পর ট্রাম্প ১০১ এবং হ্যারিস ৭১টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
তবে এখন পর্যন্ত ফলাফলে কোন অঘটন ঘটে নাই। এই রাজ্যেগুলিতে যা ফলাফল দেখা যাচ্ছে, সেরকম হবে বলেই ধারনা করা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো রাজ্য-ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করছে।
প্রথম চারটি রাজ্যের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা এবং কেন্টাকিতে জয়লাভ করে ২৩টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
অন্য দিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ভেরমন্ট রাজ্যে জয়লাভ করে ৩টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
পঞ্চাশটি রাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩ ৮ ইলেক্টরাল ভোট আছে এবং যে প্রার্থী ২৭০টি পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।
তবে, গত এক বছরের জনমত জরীপ এবং অতীত নির্বাচনের আলোকে ৪৩টি রাজ্যের ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে আছে।
সাতটি রাজ্যে - জর্জিয়া, উইস্কন্সিন, মিশিগান, পেন্সিলভানিয়া, অ্যারিজনা, নেভাদা আর নর্থ ক্যারলাইনায় কে জিতবে, তা নিশ্চিত না। এই রাজ্যেগুলোকে 'সুইং স্টেট' বলা হয় এবং সেখানে মোট ৯৩টি ইলেক্টরাল ভোট আছে।
অর্থাৎ, নির্বাচনে জয়ের জন্য এক প্রার্থীকে এই সাতটি সুইং স্টেটের অন্তত চারটিতে জয়লাভ করতে হবে।
ভোটাররা যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ কংগ্রেসের ভাগ্যও নির্ধারণ করছেন
মঙ্গলবারের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ইউ এস কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও লড়াই হচ্ছে। নির্বাচনে যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস বা রিপাবলিকান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর আইন প্রণয়ন কর্মসূচির সাফল্যর জন্য কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাররা সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভস-এর ৪৩৫ আসনে প্রতিনিধিদের দুই বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করবে। আর সেনেটের ১০০ আসনের ৩৪টিতে সেনেটররা ছয় বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন।
ডেমোক্র্যাটরা বর্তমানে সেনেটের এবং রিপাবলিকানরা হাউসের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দুটি কক্ষরই হাত বদল হয়ে যেতে পারে, অথবা একই রয়ে যেতে পারে। সে যেটাই হোক, দু’কক্ষে রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণ খুব অল্প আসনের ব্যবধানে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
কবে নাগাদ ফলাফল জানা যাবে?
৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় সশরীরে ভোট দেওয়ার পালা শেষ হবে।
কোনো সরকারি সংস্থা নয়, যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমগুলোই নির্বাচনের আংশিক ফলাফল বা “কল” (পূর্বাভাস) দেয়।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ব্যালট গণনা ও কখন পর্যন্ত চিঠির মাধ্যমে আসা ভোট গ্রহণ করা যাবে, সে সংক্রান্ত আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। এ কারণে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের চূড়ান্ত ফলাফল নির্বাচনের পরের দিন বা তারও পরে জানা যাবে।
প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও সংবাদ এজেন্সিগুলো ভোটগ্রহণ শেষে জয়ী প্রার্থীর পূর্বাভাস দিতে সমস্যায় পড়ে।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে বেশ কয়েক দিন লেগে গিয়েছিল। এবারও এমন হতে পারে যে নতুন প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজয়ীদের নাম জানতে ৫ নভেম্বরের বেশ কয়েকদিন পর পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন দেখা দেবে।