পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে বায়ু দূষণের মাত্রা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যার ফলে, কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে রবিবার বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে আছে মানুষকে ঘরে বসে কাজ করার অনুমতি দেওয়া এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনিবার পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই শহর দূষণের মাত্রার মানদণ্ডে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রিডিং (১৯০০) অর্জন করে।
প্রাদেশিক সরকার ও সুইস সংস্থা আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্য অনুসারে রবিবার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে নেয় লাহোর।
এক সংবাদ সম্মেলনে পাঞ্জাবের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব বলেন, সরকার এক সপ্তাহের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং শিশুদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে।
এ সময় পুরো শহরকে ঘিরে রেখেছিল দূষিত বাতাসের ধোঁয়াশা।
ভারতকে দোষারোপ
নাগরিকদের ঘরের ভেতর থাকতে, জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে এবং অত্যাবশ্যক নয় এমন যাতায়াত পরিহার করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, হাসপাতালগুলোকে ধোঁয়াশা কাউন্টার দেয়া হয়েছে।
গাড়ি থেকে সৃষ্ট দূষণ কমাতে অফিসের ৫০ শতাংশ কর্মীরা শুধু বাড়িতে বসে কাজ করবেন বলে জানান আওরঙ্গজেব।
দূষণের মাত্রা কমানোর জন্য সরকার তিন চাকার থ্রি হুইলার (রিকশা নামে পরিচিত) চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং সুনির্দিষ্ট এলাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো কারখানা বা নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে এসব নীতিমালা না মানা হলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
আওরঙ্গজেব চলমান পরিস্থিতিকে “অপ্রত্যাশিত” বলে বর্ণনা করেন এবং বাতাসের গুণমান কমে যাওয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে দূষণ বয়ে আনা বাতাসকে দোষারোপ করেন।
“ভারতের সঙ্গে আলোচনা না করে এর সমাধান হবে না”, জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারেন।