ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা শুক্রবার জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলে রাতে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক ডজন ব্যক্তি আহত হয়েছে; এদের অধিকাংশই শিশু ও নারী।
এই সংস্থা আরও বলেছে, দেইর আল-বালাহ, নুসেইরাত শিবির ও আল জাওয়েদা শহরে এই হামলার ঘটনাগুলি ঘটেছে
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে “বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী”কে তাদের সৈন্যরা চিহ্নিত ও হত্যা করেছে এবং উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় নিশানাকৃত হানায় “কয়েক ডজন সন্ত্রাসী”কে নির্মূল করা হয়েছে।
এক বছর আগে হামাস ইসরায়েলের উপর অতর্কিত হামলা চালানোর পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। সেই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি বানিয়ে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। এর প্রত্যুত্তরে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ৪২৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু, জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার গাজা ভূখণ্ড জুড়ে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে একটি হাসপাতালে আঘাত হানা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, চিকিৎসা সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কার্যক্রম ব্যাহত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস তাদের সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য বেইত লাহিয়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতালকে ব্যবহার করছিল এবং “কয়েক ডজন সন্ত্রাসী” সেখানে লুকিয়ে ছিল। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে যাতে “(ইসরায়েলি) অভিযানের নৃশংসতা থেকে হাসপাতাল ও চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখা হয়।”
চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা মেডেসিনস সান্স ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) বৃহস্পতিবার বলেছে, হাসপাতালে মহম্মদ ওবেইদ নামে একজন চিকিৎসককে ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার আটক করেছে। “পরিষেবা দিতে গিয়ে ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছেন” যে সকল চিকিৎসা কর্মী, তাদের ও ওবেইদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।